রোহিঙ্গা আনলেই ট্রলার মাঝি গ্রেফতার
নাফ নদী ও সাগর পথে রোহিঙ্গা প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে কক্সবাজারের প্রশাসন। রোহিঙ্গা আনলেই ট্রলার মালিক ও মাঝিমাল্লাকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গা আনার সঙ্গে কোনো এনজিও, জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নৌ ও সাগর পথে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারডুবি রোধে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে আয়োজিত এক যৌথ জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জরুরি সভায় অভিযোগ করা হয়, ট্রলার মালিকরা সহযোগিতা না করলে মাঝিরা ট্রলার নিয়ে বের হতে পারেন না। ট্রলার মালিকদের হাত আছে বিধায় রোহিঙ্গা আনতে বাংলাদেশি ট্রলার মিয়ানমারে যেতে পারছে।
সভায় নাফ নদীর মোহনায় কোস্টগার্ড ও বিজিবির টহল বৃদ্ধির দাবিও জানানো হয়।
কক্সবাজারেরর হিল ডাউন সার্কিট হাউসে আয়োজিত যৌথ জরুরি সভায় কক্সবাজারেরর জেলা প্রশাসক আলী হোসেন বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন সাড়ে ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। কিন্তু, এরপরও রোহিঙ্গা স্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। স্থলপথে রোহিঙ্গা আসা বন্ধ হলেও নৌপথে রোহিঙ্গা আসা বন্ধ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের এক শ্রেণির নৌকার মালিক ও মাঝিরা সিন্ডিকেট করে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা পারাপার করছেন। নৌকায় করে নাফ নদী বা উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকা ডুবিতে এ পর্যন্ত অন্তত ২ শতাধিক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তাই এই রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবি রোধে নৌ ও সাগর পথে রোহিঙ্গা প্রবেশ রোধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, নৌকা বা ট্রলারে করে কোনো বাংলাদেশি রোহিঙ্গা আনলে ওই ট্রলারের মালিক ও মাঝিমাল্লাকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মানজুরুল হাসান খাঁন, পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- রোহিঙ্গা সেল’র প্রধান ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক, টেকনাফ থানার ওসি মাইন উদ্দিন খাঁন, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম, কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান, উপেজলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের চেয়ারম্যান, নৌকা এবং ট্রলার মালিক সমিতার নেতা এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন