রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলে বিপাকে বরুণ গান্ধী
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি’র লাইনের বিরুদ্ধে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সমর্থনে মুখ খোলায় বিপাকে পড়েছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী মানেকা গান্ধীর পুত্র হলেন বরুণ।
তিনি উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের বিজেপি সাংসদ। হিন্দি দৈনিক ‘নবরত্ন টাইমস’এ লেখা একটি আর্টিকেলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ভারতের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যের কথাটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বদলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন বরুণ।
পরে ট্যুইটারে নিজের লেখা সেই আর্টিকেলটি শেয়ার করেন বরুণ লেখেন স্বাধীনতার পর থেকে ৪ কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নিয়েছেন’। তিনি বলেন ‘যারা কাজের খোঁজে চলে আসছেন, আর যারা নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসছেন, তাদের আলাদা করার জন্য ভারতের উচিত জাতীয় শরণার্থী নীতি প্রণয়ন করা।
আফগানিস্তান ও মিয়ানমার থেকে ভারতে আসা শরণার্থীদের দিল্লিতে কাজ ও বাসা পাওয়ার ক্ষেত্রেও ভেদাভেদ করা হচ্ছে বলেও নিজের লেখায় উল্লেখ করেন বিজেপি সাংসদ।
ভারত সরকারের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এই রোহিঙ্গারা দেশের জাতীয় নিরপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি বলেও অভিমত কেন্দ্র সরকারের। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র সেকথা জানিয়েও দিয়েছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিএসএফ’কে আরও কড়া নজরদারি চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। এমন এক পরিস্থিতিতে বরুণ গান্ধীর এই মন্তব্য।
বরুণের ওই মন্তব্যের পরই দেশটির স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী হংরাজ আহির জানান, ‘দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি যদি কারও মাথায় থাকে তবে তাঁর এমন ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। সরকার যেখানে দেশের স্বার্থের কথা মাখায় রেখে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেখানে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়াটা উচিত নয়’।
তবে বিতর্ক ওঠার পরই বরুণ গান্ধী জানান, তিনি কেবলমাত্র শরণার্থীদের সহমর্মিতার কথা বলতে চেয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন