লাইসেন্স দেখাতে না পারায় সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথ অবরুদ্ধ
রাজধানীর শনিরআখড়ায় গাড়ি চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে না পারায় সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথকে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় সাংসদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
তখন সাংসদকে মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন কদমতলী থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মমিনুল ইসলাম রাজীব।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে এক পর্যায়ে তাকে বেদম মারধর করা হয়।
পরে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ইন্স্যুরেন্স আপডেট না থাকার অভিযোগে পুলিশ মামলা দায়ের করলে সাংসদের গাড়িটি ছেড়ে দেন শিক্ষাথীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত শনিরআখড়া দনিয়া স্কুলের সামনে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
পঙ্কজ দেবনাথ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের সাংসদ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১টার দিকে সাংসদ পঙ্কজের গাড়ি ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। ওই সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তার গাড়ি থামান। তারা সাংসদের গাড়ির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করেন।
তবে গাড়ি চালক তার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে না পারায় শিক্ষার্থীরা সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে এবং আইনানুযায়ী তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
এ সময় সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তার গাড়ির সব কাগজপত্রই সঠিকভাবে আছে বলে দাবি করেন।
কিন্তু সেসব কাগজপত্র দেখাতে না পারলে পুলিশকে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করতে বলেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করলে তা দেখে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাংসদের গাড়ি অবরোধ করে রাখেন।
এক পর্যায়ে ডেমরা জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এ কে এম মঞ্জুরুল আলম সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের গাড়ির ইনস্যুরেন্স পলিসি ও গাড়ি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার বিষয়ে মামলা দায়ের করেন।
এরপর শিক্ষার্থীরা সাংসদকে ঘটনাস্থল থেকে যাওয়ার সুযোগ করে দেন।
প্রসঙ্গত, বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে পঞ্চম দিনের মতো সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কজুড়ে বিক্ষোভ করছেন অন্তত ২০টি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, সিসিআর কলেজ, গোলাম মোস্তফা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নবারুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন