লাঞ্চ বিরতির আগেই ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয়দের চেপে ধরেছে টাইগাররা
দিনের ও ইনিংসের প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় ব্রেক থ্রু পেতে খুব বেশি সময় লাগলো না বাংলাদেশের। ১৩১ রানের মাথায় ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটালো টাইগাররা। এবার উইকেট নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এই ১৩১ রানের মাথায় বসিয়ে রেখে স্বাগতিকদের তৃতীয় উইকেট তুলে নিলেন পেসার খালেদ আহমেদ। অর্থ্যাৎ ১৩১ রানের মাথায় পড়লো দুই উইকেট।
মেহেদী হাসান মিরাজের আর্ম বলটাকে ফ্রন্ট ফুটে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন ব্র্যাথওয়েট। কিন্তু বলটাকে ঠিকমত পড়তে পারেননি। বলটা হালকা বাঁক খেয়ে গিয়ে সোজা আঘাত হেনেছে তার স্ট্যাম্পে।
আউট হওয়ার আগে অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। ১০৭ বলে ৫১ রানে থাকতেই মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলেন ব্র্যাথওয়েট।
ওয়ান ডাউনে নামা রেমন রেইফারও বোল্ড হলেন খালেদ আহমেদের বলে। ৩৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি ছিল অফ স্ট্যাম্পের ওপর শট লেন্থের ডেলিভারির। স্টিয়ার করতে চেয়েছিলেন রেইফার। কিন্তু বল ভেতরের কানায় লেগে গিয়ে আঘাত হানে সোজা স্ট্যাম্পে। সাকিবের প্রথম ইনিংসে আউট হওয়ার মতই ২২ রান করে আউট হলেন রেমন রেইফার।
একই ওভারের শেষ বলে বোল্ড হলেন এনক্রুমাহ বোনারও। কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। খালেদের গতিময় বলটি পা দিয়েও ঠেকাতে পারেননি বোনার। বোল্ড হয়ে গেলেন। ১৩২ রানে পড়লো চতুর্থ উইকেট।
বাংলাদেশ যখন ব্যাট করতে নেমেছিল, তখন মনে হচ্ছিল সেন্ট লুসিয়ার উইকেট বুঝি বোলারদের স্বর্গরাজ্য। কিন্তু নিজেরা যখন বোলিং করতে এলো, তখন সেটা আর বোলারদের স্বর্গরাজ্য নেই। পুরোপুরি ব্যাটিং বান্ধব।
ক্যারিবীয় ব্যাটাররা আপাতত সেটাই প্রমাণ করে চলেছেন। বাংলাদেশকে ২৩৪ রানে অলআউট করে দেয়ার পর প্রথমদিন ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেন দুই ক্যারিবীয় ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট এবং জন ক্যাম্পবেল। দু’জন মিলে ১০০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন।
এরপরই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের ওপর প্রথম আঘাতটা হানতে পারলেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম। ২৬তম ওভারের শেষ বলে রীতিমত গতির আগুনে জন ক্যাম্পবেলকে ঝলসে দিয়েছেন শরিফুল।
তার বলটি ছিল শট পিচ করা। সঙ্গে এক্সট্রা বাউন্স হয়েছিল তাতে। ক্যাম্পবেল চেষ্টা করেছিলেন পুল করতে। কিন্তু গতি আর এক্সট্রা বাউন্সের কাছে কুলিয়ে উঠতে পারেননি। বল গ্লাভসে লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে।
ব্রেক থ্রুটা ১০০ রানের মাথায় দিয়ে দিলেন শরিফুল। ৭৯ বল খেলে ৪৫ রান করে আউট হলেন ক্যারিবীয় ওপেনার জন ক্যম্পাবেল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন