লালমনিরহাটে বিএনপি’র হামলায় শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীরের মৃত্যু

লালমনিরহাটে বিএনপি’র হামলায় আহত লোড আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা জাহাঙ্গীর আলমের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সাকিরুল নামক একজন বিএনপি কর্মীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।আদিতমারীতে বিএনপি পাটি অফিসে ভাংচুর করেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী। হাতীবান্ধায় হরতাল বিরোধী মিছিল ও শান্তি সমাবেশ করেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ।

রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়।

এর আগে সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজারে হরতাল চলাকালে বিএনপি’র হামলায় আহত হন তিনি।

মৃত জাহাঙ্গীর আলম লালমনিরহাট সদর উপজেলা লোড আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের বেড়পাঙ্গা গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে।

একই ঘটনায় ওই সংগঠনের সভাপতি ও সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছ উদ্দিনসহ ৩ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে প্রতিদিনের মত মহেন্দ্রনগর বাজারের একটি হল ব্লক ইট ভাটায় কাজ করতে যাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় মহেন্দ্রনগর রেলগেট এলাকায় পৌছলে তাদের উপর হামলা চালায় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কয়েক রাউন্ড সটগানের গুলি ছুড়ে বিএনপিকে ছত্রভঙ্গ করে। পরে আহত ৪ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়।

অপর আহত শ্রমিক রাজু ও বাবলুর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় ঢাকায় রেফার্ড করেছেন চিকিৎসকরা।

রংপুর মেডিকেল থাকা সদর উপজেলা লোড আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনিছ উদ্দিন বলেন, আমি সামান্য আঘাত পেয়েছি। জাহাঙ্গীর, বাবলু ও রাজুকে দেশি অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে বিএনপি’র লোকজন। জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়েছে। বাবলু ও রাজুকে ঢাকায় রেফার্ড করেছেন চিকিৎসকরা।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, সকালে অতর্কিত হামলা চালালে পুলিশ কয়েক রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। আহতদের একজন জাহাঙ্গীর আলম রংপুরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছেন। মহেন্দ্রনগর বাজার এলাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশে নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।