লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউনিয়নের টিকটিকি বাজারের সাকোয়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে আফরোজা বেগমের সঙ্গে এক বছর আগে বিয়ে হয় পৌরসভার নর্থ বেঙ্গল এলাকার বক্তার আলীর ছেলে মার্জানের। স্বামী মার্জান এখনো ছাত্র। লেখাপড়া করেন ঢাকায়। স্ত্রী আফরোজা স্বামীকে মোবাইলে ম্যাসেস দেন, “জান আর দেখা হবে না।”

এ ধরনের ম্যাসেস দিয়ে বুধবার বিকেলে বাবার বাড়িতে আত্নহত্যা করেন অভিমানী আফরোজা। পুলিশ সেখান থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেন।

পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পরকীয়া প্রেম সংঘটিত বিষয়ে স্বামী মার্জান ও স্ত্রী আফরোজার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়ন চলে। আফরোজার অনিচ্ছা স্বত্তেও পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় তাদের। শিক্ষা জীবন শেষ না হওয়ায় মার্জান ঢাকায় বেশি থাকেন। এ সুযোগে আফরোজা তার আগের বন্ধুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যান। মোবাইল ফোনে ম্যাসেস দেখে তাদের পরকীয়া সম্পর্ক বেশ জানাজানি হয়ে যায়।

এ নিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়ন শুরু হয়। এ ধরনের চাপ থেকে” জান আর দেখা হবেনা ” স্বামীকে মোবাইলে এ ধরনের ম্যাসেস দিয়ে আত্মহত্যা করেন আফরোজা।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।