লালমনিরহাটের দায়বদ্ধতা থেকে সামাজিক অবক্ষয় রোধে ভূমিকা রাখতে হবে- জেলা প্রশাসক

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দইখাওয়া আদর্শ কলেজের উদ্যোগে মাদক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে অত্র কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক একটি র্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞার সভাপতিত্বে আয়োজিত উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাসেল মিয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) জয়ন্ত কুমার সেন, ওসি মাহমুদুন নবী।

উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজ অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন। মুক্ত আলোচনা অংশ নেন, ,গোতামারী ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনতাহা, কেয়া মনি, দইখাওয়া আদর্শ কলেজের শিক্ষার্থী এনামুল করিম প্রমুখ। মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা, বাল্যবিবাহ ও মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, তথ্য দাতাদের পরিচয় গোপন রাখার পাশাপাশি মাদক নির্মুলে আইনের যথাযথ প্রয়োগের বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।

জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার তাঁর প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, ইমাম, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় সুশীল সমাজ তারা তাদের দায়বদ্ধতা থেকে সামাজিক অবক্ষয় বাল্যবিবাহ ও মাদক নির্মুলে ভূমিকা রাখবে। ক্ষুধা, নিদ্রা, ভয় যাদের থাকবে তারা আবুল কালাম আজাদ হতে পারবে না। এসব ত্যাগ করে সাহসের সঙ্গে সামাজিক অবক্ষয় রোধে ভূমিকা রাখবেন।

তিনি সক্রেটিসের উক্তি তুলে ধরে বলেন, “নিজেকে জানো।” আর নেপেলিয়নের উক্তি তুলে ধরে বলেন,” আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেবো।”

পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, মানুষের মতো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন থাকতে হবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আকাংখা থাকতে হবে। এটি আমাদেরকে সামাজিক অবক্ষয়রোধ করে কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। মাদক কারবারি ও বাল্যবিবাহে জড়িতদের সামাজিকভাবে বয়কট করার কথাও বলেন তিনি।

সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত কর্নেল বীরপ্রতীক নিয়ামুল ইসলাম বলেন, এক জরীপে দেখা গেছে, ২০০৭ সালে ২৩ লক্ষ লোক মাদকাসক্ত ছিল,২০১২ সালে এ সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৮ লক্ষ আর বর্তমানে মাদকাসক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩০ লক্ষ লোক।

মাদক থেকে রক্ষায় শিশুদের ন্যায়বোধ,নৈতিকতার শিক্ষা, ভালো কাজের দিকে ধাপিত করা, অন্যায় কাজ থেকে রক্ষা ও হালাল রোজগারে সন্তানদের গড়ে তোলার মানসিকতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে কলেজের পক্ষ থেকে অতিথিদের জীবন্ত ফুলের চারা ও উত্তরীয় পরিধান করে বরণ করে নেয়।