লাস ভেগাস হামলায় নারীর জীবন বাঁচাল আইফোন

যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের উন্মুক্ত কনসার্টে গুলি ছুড়ে স্টিফেন প্যাডক ৫৯ জনকে হত্যা করলেও অনেকের মধ্য একজন বেঁচে গেছেন তার আইফোনের কারণে। মান্দালাই বে হোটেলে নিজের কক্ষ থেকে প্যাডক সংগীত উৎসবে অংশ নেওয়া মানুষদের ওপর গুলি ছোড়ার ঘটনায় আহত হন পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার রাতে মান্দালাই বে হোটেলের পাশে উন্মুক্ত চত্বরে ‘রুট নাইনটি ওয়ান হারভেস্ট কনসার্টে’ হামলায় এক নারীর জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে তাঁর রোজ গোল্ড রঙের আইফোন। ওই নারীকে শনাক্ত করা সম্ভব না হয়নি। তবে তিনি তার ট্যাক্সিক্যাব চালককে ক্ষতিগ্রস্ত আইফোনটি দেখিয়ে বলেছেন যে, ফোনটির কারণে তার জীবন বেঁচে গেছে।

ছবিতে দেখা গেছে আইফোনের কভার বুলেটের আঘাতে ভেঙে গেছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের এই বড় ধরনের হামলার সময় ওই নারীর আইফোনটি শরীরের কোথায় রাখা ছিল তা জানা যায়নি। এ ছাড়া ছবি দেখা জানা গেছে, আইফোনটি রোজ গোল্ড রঙের তবে কোনো মডেলের আইফোন ছিল সেটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে বন্দুকধারী স্টিফেন প্যাডকের বান্ধবী বলে ধারণা করা নারী মারিল্যু ড্যানলি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। পুলিশ তাঁকে জেরার জন্য খুঁজছিল।

মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ফিলিপাইন থেকে মারিল্যু লস অ্যাঞ্জেলসে পৌঁছালে মঙ্গলবার রাতে ফেডারেল এজেন্টদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাঁকে তদন্তের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে বিবেচনা করছে।

গত রোববার লাস ভেগাসে এক উন্মুক্ত কনসার্টে গুলি ছুড়ে প্যাডক ৫৮ জনকে হত্যা করেন। আহত হন পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি। মান্দালাই বে হোটেলে নিজের কক্ষ থেকে তিনি সংগীত উৎসবে অংশ নেওয়া মানুষদের ওপর গুলি ছোড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, এরপরই তিনি আত্মহত্যা করেন।

পুলিশের কাছে প্যাডকের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো রেকর্ড নেই, যা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে এ ঘটনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

মার্কিন পুলিশ বলছে, বন্দুক হামলার পরই তারা মারিল্যুর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা প্যাডক সম্পর্কে তথ্য খুঁজছিল। ফিলিপাইনের গণমাধ্যম বলছে, মারিল্যু সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে ফিলিপাইনে ছিলেন।

প্যাডক মান্দালাই বে হোটেলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওঠেন। সেখানে বিভিন্ন কাগজপত্রে তিনি মারিল্যু ড্যানলির পরিচয় ব্যবহার করেন। বন্দুক হামলার একদিন আগেই প্যাডক তাঁকে এক লাখ ডলার পাঠান বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন।

প্যাডকের ছোট ভাই এরিক প্যাডক দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, তাঁর ভাই মারিল্যুকে খুব ভালোবাসতেন। তাঁর ভাষায়, ‘তিনিই সম্ভবত একমাত্র মানুষ, যার জন্য ছোট কিছু একটা করতেও বেরিয়ে পড়তেন ভাই।’