শখের বশে মোটরসাইকেল? কখনোই নয়
বর্তমান সমাজে জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপ বেড়েই চলেছে। গণপরিবহনে যাত্রীদের চাপ এবং ব্যক্তিগত কাজে দ্রুত ও যাতায়াত ব্যবস্থাকে সহজলভ্য করে তোলার জন্য ব্যক্তিগত যানবাহনের চাহিদা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। সেক্ষেত্রে সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী হবার দরুণ মোটরসাইকেল হলো সর্বাধিক জনপ্রিয় বাহন। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে এটি এক প্রকার ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।
শখের বশে বা সন্তানের জেদের আবদার মেটানোর জন্য অভিভাবকরা মোটরসাইকেল কিনে দিচ্ছেন এবং এমন বেখেয়ালীপনায় নিজেদের সন্তানকে চরম উচ্ছশৃঙ্খল পথে ধাবিত করছেন। রাস্তায় নিরাপত্তাহীনভাবে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অকালে ঝরে যাচ্ছে শত শত সম্ভাবনাময়ী জীবন।
পরিসংখ্যান মতে, ২০১৯ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৮টি; যা মোট দুর্ঘটনার ১৯ শতাংশ। ২০২০ সালে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৭৮টিতে; যা মোট দুর্ঘটনার ২৯ দশমিক ১০ শতাংশ।
গত বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক হাজার ৪৬৩ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালে যার পরিমাণ ছিল ৯৪৫ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা সিংহভাগ।
সহজেই অনুমেয়, মোটরসাইকেল মানবজীবনের কত বড় মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে! প্রাপ্ত বয়স্ক হবার আগে এবং অপ্রয়োজনে মোটর সাইকেলের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। গণপরিবহনের পরিমান বৃদ্ধি করে যানজট নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
একই সাথে সরকারের সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে নজরদারি বাড়াতে হবে। দুর্ঘটনায় সড়কে রক্তের প্রবাহ আর নয়, এই হোক সকলের অঙ্গীকার।
রাফিয়া নুসরাত মিম
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, চট্টগ্রাম।
ও
সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন