কয়েকমাস আগে মুম্বাই মিরর এ একজন অভিনেত্রীর নাম না জানিয়ে একটি আর্টিকল প্রকাশিত হয়। সেই নায়িকা নাকি এখন একজন এসকর্টের কাজ করেন। আমরা সাধারণ লোকেরা সেলেবদের বিলাসবহুল লাইফস্টাইল দেখে ঈর্ষান্বিত হই। কিন্তু এই বিলাসিতা সহজে পান না তারকারা।

এই অভিনেত্রীর কথাই ধরুন, বলিউডে তিনি ডেবুউ করেন ২০০০ সালে। তার বিপরীতে যে হিরো ছিলেন তার ও সেটা প্রথম ছবি ছিল। সেই হিরো আবার বলিউডের একজন নামকরা পরিচালক-প্রযোজকের ছেলে।

যাই হোক‚ তাদের প্রথম ছবি ব্লকবাস্টার হয়। সেই সময় বহু রেকর্ড ভেঙেছিল এই ছবি। এই সুপারহিট ছবি ছাড়াও এই নায়িকার অভিনয় করা আরও একটা ছবি খুব হিট হয়। কিন্তু তার পর ধীরে ধীরে বলিউডে তার কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। এই নায়িকা একজন ডিভোর্সি পরিচালকের সঙ্গে প্রেম করতেন। কিন্তু সেই সম্পর্কও শেষ হয়ে যায়।

এমন একজন নামী অভিনেত্রীকে নিজের বিলাসবহুল জীবনযাপন বজায় রাখার জন্য নিজের শরীর বিক্রি করতে হচ্ছে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। অবশ্য তিনিই প্রথম অভিনেত্রী নন যিনি এমনটা করলেন। বহুদিন ধরেই নাকি বলিউডে এই প্রচলন আছে‚ অনেক অভিনেত্রীরাই বিলাসবহুল জীবন-যাপন করার জন্য এসকর্ট হয়ে যান।

শোনা যায়, বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদেরও নাকি অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যায়। দুবাই‚ লন্ডন বা নিউইয়র্ক থেকে ফিরে আসার পর অভিনেত্রীদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বেড়ে যায় এমন গল্পও শোনা যায়।

বলিউডের এক টপ ফ্যামেলি অন্য এক টপ নায়িকার সঙ্গে তাদের ছেলের এনগেজমেন্ট ভেঙে দেন যখন জানতে পারেন সেই নায়িকা বলিউডে পা রাখার আগে লন্ডনে এসকর্ট ছিলেন। এইবার বুঝতে পারছেন তো কেন বলিউডের মায়েরা তাদের ছেলের বিয়ে কোনও অভিনেত্রীর সঙ্গে দিতে চান না।

শোনা যাচ্ছে এই অভিনেত্রী নাকি লন্ডনে অবস্থিত একটা এসর্কট এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত যারা অভিজাত ব্যক্তিদের সার্ভিস দেয়। অবশ্য এই এসর্কট এজেন্সির সঙ্গে খুব বেশিদিন উনি যোগ দেননি। কারণ কিছুদিন আগেও তাকে একজন প্রাক্তন অভিনেতার সঙ্গে ঘুরতে দেখা যাচ্ছিল‚ অবশ্য সেটাও তিনি করতেন অর্থের বিনিময়ে। অনুমান করা হচ্ছে এই অভিনেত্রী হলেন আমিশা প্যাটেল।