শরীয়তপুরে মরা গরুর মাংস বিক্রি করতে আনলেন বিপনী বাগের ব্যবসায়ী আনু
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানা থেকে মৃত গরুর গোস্ত বিক্রি করার জন্য আনলেন চাঁদপুর বিপনীবাগের মাংস ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আনু। আর সেই মরা গরুর গোস্তের পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে তা জানাজানি হলে অবশেষে তা মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬ টায় চাঁদপুর ডাকাতিয়া নদীর পাড় সংলগ্ন পৌর কসাই খানায় সখীপুর থেকে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে গরুর গোস্ত নিয়ে আসা হয়। এসময় ট্রলার থেকে গোস্ত নামানোর সময় দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন পৌর ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুহাম্মদ সোহেল রানাকে দেখতে পেয়ে বিষয়টি জানায়।
পরে কাউন্সিলর সোহেল রানা সেখানে যায়।এবং তার উপস্থিতি টের পেয়ে মূহুর্তেই গোস্ত গুলো রেখে ট্রলার চালক আলমগীর ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে কাউন্সিলর সোহেল রানা কসাই খানার লোকজন নিয়ে গোস্ত গুলো মাটিতে পুতে পেলে।
এসময় সেখানেই নীরব দর্শকদের ভূমিকায় দাড়িয়ে ছিলেন চাঁদপুর বিপনিবাগের গোস্ত ব্যবসায়ি আনোয়ার হোসেন আনু।
এবিষয়ে ব্যবসায়ী আনু বলেন,এগুলো আমার মাংস না।এবিষয়ে ট্রলার চালক আলমগীর বলতে পারবে।
ট্রলার চালক আলমগীর মঠোফোনে জানান,গতকাল ৭ নভেম্বর রাতে সখিপুরের গরুর ব্যবসায়ির ফার্মে আগুন লাগে।এসময় ৪ টি গরু মারাযায় ও কিছু গরুর অনেকাংশ পুড়ে যায়। সেই গরুর গোস্ত সাখিপুরের ওনারা নিছে আর বাকি ২৫০ কেজি বিপনিবাগের ব্যবসায়ী আনু আনছে।
কাউন্সিলর সোহেল রানা বলেন,আমি সকালে ব্রিজের উপর হাটতে বেরিয়ে ছিলাম এসময় স্থানীয় লোকজন আমাকে বিষয়টি জানালে আমি তাৎক্ষণিক সেখানে যাই।আমি সেখানে পৌছার সাথে সাথে ট্রলার চালক ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যায়।
এসময় বিপনিবাগের গরুর গোস্ত ব্যবসায়ি আনুকে দেখে জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমি কিছুই জানিনা ।পরে সে সেখান থেকে কেটে পড়ে।পরে আমি কসাই খানার লোকজন নিয়ে গোস্ত গুলো মাটিতে পুতে ফেলি।
পরে খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন