শর্মা ওলীর সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা

নেপালি প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলীর সঙ্গেবৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে দুই নেতার মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সকালে চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু পৌঁছেন শেখ হাসিনা।
নেপালি গণমাধ্যম দ্য হিমালয়ান টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, আজ বেলা ৩টায় শুরু হবে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। তার আগেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি বলছে, দুই নেতার বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপ-আঞ্চলিক সংস্থাটি (বিমসটেক) ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মধ্য দিয়ে গঠিত হয়। এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ৫টি দক্ষিণ এশিয়ার। এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা এবং অন্য দুটি দেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড।

প্রাথমিকভাবে ৪টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে একটি অর্থনৈতিক জোট গঠিত হয়েছিল। যার সংক্ষিপ্ত নাম ছিল ‘বিআইএসটি-ইসি’ (বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা এবং থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন)।

১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি বিশেষ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই জোটে মিয়ানমারের অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে এর নতুন নামকরণ হয় ‘বিআইএমএসটি-ইসি’ (বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা এন্ড থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন)।

৬ষ্ঠ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে (ফেব্রুয়ারি ২০০৪, থাইল্যান্ড) নেপাল এবং ভুটান অন্তর্ভুক্ত হলে জোটের নতুন নামকরণ হয় ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)।’

এই ধরনের একটি জোট গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বায়নের আগ্রাসন মোকাবেলা করে আঞ্চলিক সম্পদ এবং ভৌগোলিক সুবিধাদি কাজে লাগিয়ে সকলের স্বার্থে পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা।