শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল
আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এই দিনে পাকহানাদার বাহিনী নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে মিরপুর স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে স্মৃতিসৌধে সমবেত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তারা ফুল দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকালেই মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, বিবি, পিএসসি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ ছাড়া মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, শহীদ পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এর পর স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানান।
উল্লেখ্য, একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হানাদাররা সে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যার মাধ্যমে শুরু করে বাঙালি নিধনযজ্ঞ। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস হানাদাররা বাংলাদেশে গণহত্যা, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রাখে।
ডিসেম্বরে এসে নিজেদের পরাজয় অনিবার্য জেনে দখলদাররা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার গোপন নীলনকশা গ্রহণ করে।
১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর কাছে পরাজয় স্বীকার করে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর সারা দেশ থেকে সহস্রাধিক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন