শামির আগে ব্যবসায়ী বাবুকে পালিয়ে বিয়ে করেন হাসিন
ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামিকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন কলকাতার মডেল হাসিন জাহান। তবে এটি তার প্রথম ভালোবাসা ও বিয়ে নয়। এর আগে শেখ সাইফুদ্দিন বাবু নামে এক ব্যবসায়ীকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। ১০ বছর মেয়াদের প্রথম সংসারে হাসিনের দুটি সন্তানও রয়েছে।
অনেক আগেই বাবু-হাসিনের প্রথম সংসার ভেঙেছে। দুজনের জীবনই বয়ে গেছে দুদিকে। তবে সাবেক স্ত্রী হাসিনের নতুন সংসারের ঝড়ের খবর শুনে মন খারাপ করেছেন বাবু। হাসিনের পক্ষ নিয়ে বলেছেন, হাসিন যেসব অভিযোগ তুলেছে, সেগুলো সত্যি হলে শামির শাস্তি অনিবার্য।
অবশ্য পুলিশি অভিযোগের পাহাড় মাথায় নিয়ে হাসিনের বর্তমান স্বামী শামি বলেছেন, ভালোবাসা থাকলে ঝগড়া হবেই। আমি পরিবারে ফিরতে চাই। হাসিনের সব অভিযোগও উড়িয়ে দেন তিনি।
শুক্রবার যাদবপুরের বাড়িতে গিয়ে শামির বিভিন্ন মেসেজের স্ক্রিন শট এবং অডিও ক্লিপিংস নেন গোয়েন্দারা। শামি দাবি করেছেন, ওই অডিও ক্লিপিংসের ফরেনসিক পরীক্ষা হোক।
শনিবার কলকাতা পুলিশ সদর লালবাজারে যান হাসিন। সেখানে তার জবানবন্দি নেয়া হয়। গোয়েন্দারা জানান, আপাতত প্রমাণ জোগাড়ে জোর দিচ্ছেন তারা।
এসব দেখে খারাপই লাগছে হাসিনের সাবেক স্বামী বাবুর। তিনি জানান, পাড়ার মেয়ে হাসিনের সঙ্গে তার আলাপ ২০০০ সালে। পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে ২০০২ সালে। পরে উভয় পরিবারই তাদের মেনে নেয়। তাদের দুটি মেয়েসন্তান হয়। এর মধ্যে ২০০৩ সালে বড় মেয়ে ও ২০০৬ সালে ছোট মেয়ে জন্ম নেয়।
মূলত ছোট মেয়ে হওয়ার পরই বাবু-হাসিনের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। কিন্তু কেন? ৩৭ বছরের বাবু বলেন, হাসিন আরও পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিল। মধ্যবিত্ত পরিবার। বাড়ির বউ বাইরে গিয়ে পড়াশোনা-চাকরি করার বিষয়ে আমার পরিবারের অমত ছিল।
তিনি জানান, এ নিয়ে অশান্তির জেরে ২০১০ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ওই সময় আদালতের নির্দেশে দুই সন্তানকে লালনপালনের সুযোগ পান হাসিন।
পরে কলকাতায় গিয়ে মডেলিং শুরু করেন হাসিন। একসময়ে ‘চিয়ারলিডার’-এর কাজ পান। তখনই ক্রিকেটার শামির সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
বাবু জানান, ২০১২ সালের শেষের দিকে তিনি হাসিনের নতুন সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এর পর তিনি মেয়েদের নিজের কাছে রাখতে চান। সেই প্রস্তাবে হাসিন রাজি হয়েছিল। এর জন্য ওর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
বাবু-হাসিনের বড় মেয়ে এবার দশম শ্রেণিতে পড়ছে। ছোট মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। গত জানুয়ারিতে হাসিনের ইচ্ছায় ছোট মেয়েকে মায়ের কাছে পাঠান বাবু।
সিউড়িতে মনোহারি দোকান দেন বাবু। ছয় বছর আগে তিনি আবার বিয়ে করেন। দ্বিতীয় পক্ষে এক ছেলে রয়েছে তার।
তবে দুই মেয়ের সূত্রেই হাসিনের সঙ্গে যোগাযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়নি। রয়েছে সহানুভূতিও। বাবুর কথায়, অনেক লড়াই করে এতটা পথ পেরিয়েছে হাসিন। ভাবতে খারাপ লাগছে, আবার একটি লড়াই ওর সামনে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন