শুভ জন্মদিন অধিনায়ক মাশরাফি ও জুনিয়র মাশরাফি

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক, নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজার জীবনের একটি স্মরণীয় দিন হল ৫ অক্টোবর। এই দিনেই তিনি মায়ের কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে এসেছিলেন। বছর গড়িয়ে বছর আসে। এভাবেই জীবন থেকে চলে গেছে ৩৪টি বছর। অধিনায়ক ৩৫ বছরে পা দিয়েছেন।

একইসঙ্গে জুনিয়র মাশরাফিরও জন্মদিন আজ। ২০১৪ সালের এই দিনে মাশরাফির ছেলে সাহেল স্ত্রী সুমনা হক সুমির কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে আসেন। সাহেল তিন বছর পেরিয়ে এখন চার বছরে পা দিয়েছে। বাবা ও ছেলের একই দিনে জন্ম অনেকটা ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি করেছে।

মাশরাফির জন্ম ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর সবুজ শ্যামল নড়াইল শহরের মহিষখোলায়। তার বাবার নাম গোলাম মর্তুজা স্বপন। মায়ের নাম হামিদা বেগম বলাকা। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাশরাফি বড়। ছোট ভাই সিজার মাহমুদও ক্রিকেট নিয়েই সময় কাটান।

মাশরাফি ২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নড়াইল শহরে আলাদাতপুরের মেয়ে সুমনা হক সুমির সাথে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেন। মাশরাফির বাসা হতে শ্বশুরালয় এক কিলোমিটার দূরে। শ্বশুর মরহুম সিরাজুল হক। শাশুড়ি হোসনে আরা সিরাজ স্কুল শিক্ষিকা।

ক্রিকেট তারকার এটি ৩৪তম জন্মদিন হলেও এর আগে কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মদিন পালন করা হয়নি। মাশরাফি জন্মদিন পালন করা মোটেও পছন্দ করেন না।

এদিকে ছেলে ও নাতির জন্মদিনে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন মাশরাফির মা হামিদা বেগম বলাকা।

তিনি জানান, মাশরাফি এখন পরিবার নিয়ে ঢাকায় আছে। মাস খানেক আগে মাশরাফির ছেলে সাহেল একটু অসুস্থ ছিল। তবে আল্লাহর রহমতে এখন সুস্থ আছে। মাশরাফিসহ দেশের সকল খেলোয়াড় যাতে সুস্থ থাকেন এবং আগামী দিনগুলোতে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারেন সে জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু বলেন, মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মাশরাফিকে নিয়ে আমরা গর্ব করি।

বিচক্ষণতা, সরলতা, ভদ্রতা, দেশপ্রেমসহ অসংখ্য গুণে গুণান্বিত মাশরাফি বিন মর্তুজা দেশবাসীকে মুগ্ধ করেছেন। ইনজুরি মাশরাফির জীবনের বড় বাধা হয়ে দাঁড়ালেও কঠোর মনোবলের কারণে আজও ক্রিকেটকে ধরে রেখেছে। আগামী বিশ্বকাপে মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হবে এই প্রত্যাশা রইল জন্মদিনে। শুভ জন্মদিন।

এদিকে মাশরাফির জন্মদিনে ২০১৬ সালে নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের রুখালী গ্রামে মাশরাফি ভক্তদের প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা হয় ‘মাশরাফি গণপাঠাগার’।

মাশরাফির জন্মদিন ও পাঠাগারের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
শুভ জন্মদিন অধিনায়ক মাশরাফি ও জুনিয়র মাশরাফি।