শেরপুরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের ৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাসমূহকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো জাতীয়করণের দাবিতে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট, শেরপুর জেলা শাখা।

রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার তিন শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

পরে জেলা সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান-এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

মানববন্ধন চলাকালে রাখেন, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মো. সেলিম, মো. মোবারক মিয়া সহ আরও অনেকে। বক্তারা অবিলম্বে ৬ দফা দাবির বাস্তবায়নের আহ্বান জানান এবং জাতীয়করণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও দ্রুততার দাবি তোলেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

স্মারকলিপিতে উত্থাপিত ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা গবেষণা রিচার্স ইনষ্টিটিউট কর্তৃক ষ্টাডি রিপোর্টের সুপারিশের আলোকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণের ঘোষণা বাস্তবায়ন।

২. স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রেজিট্রেশন স্থগিত আদেশ ২০০৮ প্রত্যাহার করা।

৩. রেজিট্রেশন প্রাপ্ত কোড বিহীন মাদ্রাসাগুলো মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক কোচ নম্বরে অন্তর্ভুক্তকরণ।

৪. স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার আলাদা নীতিমালা, পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি, বেতন-ভাতা, নীতিমালা-২০২৫ অনুমোদনকরণ।

৫. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় অফিস সহায়ক নিয়োগের ব্যবস্থা করণ।

৬. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রাক-ইবতেদায়ী শ্রেণি খোলা অনুমোদনের ব্যবস্থা করণ।

বক্তারা বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগণের সন্তানদের শিক্ষা দিচ্ছেন এই শিক্ষকরা, অথচ তারাই বছরের পর বছর বঞ্চিত। সময় এসেছে তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়ার।