শেরপুরে ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেলো ৩৯ জন

শেরপুর জেলায় নিয়োগযোগ্য প্রকৃত শূণ্য পদ অনুসারে বিদ্যমান কোটা ও নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মাত্র ১২০ টাকায় আবেদন করেই মিলে চাকরি। এতে খুশিতে বিহ্বল এসব নিয়োগ প্রাপ্তরা।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে শেরপুর পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাসে আনুষ্ঠানিকভাবে টিআরসি নিয়োগ কার্যক্রমের সকল ইভেন্টে কৃতকার্য প্রার্থীদের লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম এবং ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার ও টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম।

এ সময় শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে স্বচ্ছতার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ায় উত্তীর্ণ প্রার্থী এবং তাদের অভিভাবকগণ অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে তাৎক্ষণিক অনুভূতি প্রকাশ করেন।

এসময় পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের শেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। উত্তীর্ণ সকলকে প্রশিক্ষণ শেষে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব সহিত দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে কাজ করার আহবান জানান।

এ সময় টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গফরগাঁও সার্কেল, ময়মনসিংহ) আফরোজা নাজনীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল, নেত্রকোনা) সুমন কুমার দাস পিপিএম-সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, প্রার্থী এবং তাদের অভিভাববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, শেরপুর জেলার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল ৩৯ জনের শূন্য পদের বিপরীতে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং শেষে ৩৪৪১ জন প্রার্থী শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান।

শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরিক্ষা শেষে ৫৮১ জন লিখিত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে এবং লিখিত পরীক্ষায় ২৩৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে চূড়ান্তভা‌বে নারী ও পুরুষ ৩৯ জনকে মনোনীত করে শেরপুর জেলা টিআরসি নিয়োগ বোর্ড। এরম‌ধ্যে ১ জন নারী ও ৩৮ জন পুরুষ সদস্য রয়েছেন। এছাড়াও ৪ জন‌কে রাখা হ‌য়ে‌ছে অপেক্ষমান তা‌লিকায়।