সংবাদ প্রকাশের জেরে সাতক্ষীরার ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, প্রত্যাহারের দাবি
সংবাদ প্রকাশের জেরে সাতক্ষীরায় কর্মরত পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন জেলার তালার শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানির ম্যানেজার জহর আলী সরদার।
গত ২ এপ্রিল সাতক্ষীরা আমলী আদালত ৩-এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সম্প্রতি পিবিআইকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, ঢাকা মেইলের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ, সাতক্ষীরার দৈনিক পত্রদূতের নিজস্ব প্রতিনিধি হোসেন আলী, দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান সোহাগ ও সাতক্ষীরার দৈনিক কালের চিত্রের পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি শাহীন বিশ্বাস।
মামলায় উল্লিখিত পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গত ২ এপ্রিল শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানির ম্যানেজার জহর আলী সরদারের নিকট দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়। একই সাথে মামলার বাদীকে মারপিট করে তার কাছে থাকা ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে।
আদালত পিবিআইকে আগামী ২৩ মের মধ্যে মামলাটি তদন্ত পূর্বক আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন জানান, সাতক্ষীরার তালা সদরের আটারই গ্রামে শপিং ভ্যালি নামে একটি সেমাই কারখানা গড়ে উঠেছে। বিএসটিআই এর ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহারের দায়ে ২৮ মার্চ র্যাব-৬ ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে। আমি এতটুকু জানি। এর বাইরে আমার কিছু জানা নেই। ওই ফ্যাক্টরির কারও সাথে কখনো মোবাইল ফোনে কিংবা সামনাসামনি আমার কথা হয়নি। আমি সেখানে যায়ও নি। হঠাৎ জানতে পারলাম আমাকে ১ নাম্বর আসামি করে পাঁচজনের নামে মামলা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটা হয়রানিমূলক। আমি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির অভিযোগে বাদীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঢাকা মেইলের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ জানান, বিএসটিআই এর ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহারের বিষয়ে আমি একটি প্রতিবেদন করি। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওই সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানার ম্যানেজার আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে।
এদিকে, পাঁচ সাংবাদিকের নামে মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্রের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কারখানা সিলগালা করেছে। তারা বিএসটিআই এর ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহার করছে এটা প্রমাণিত হওয়ায় জরিমানাও করা হয়েছে। আর মামলা হলো সাংবাদিকদের নামে। এটা হাস্যকর। অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহার করার আহবান জানান তিনি।
একইভাবে পাঁচ তরুণ সাংবাদিকের নামে মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্রের সমন্বয়কারী আহসান রাজীব। তিনি বলেন, এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন