সংবাদ প্রকাশের পর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সেই আনারুলের পাশে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় তুষভান্ডার ইউনিয়নের বালাপাড়া হামকুড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের কে নিয়ে দুই দিন ধরে ছেলে মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটছে বৃদ্ধের আকুতি একটি ঘরের।
গত ( ১৮ এপ্রিল) বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয় এই শিরোনামে।”দুই দিন ধরে ছেলে মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটছে বৃদ্ধের আকুতি একটি ঘরের,এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেলে সংবাদটি লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী)আসনের এমপি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ র নজরে এলে ওই বৃদ্ধার জন্য ঘর ঠিক করার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান কে নির্দেশ প্রদান করেন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্তরে লালমনিরহাট-২ আসনের এমপি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ পক্ষে থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ, ও ওই সংবাদটির রিপোর্টা সাংবাদিক টিটুলকে উপস্থিত থেকে ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২ বান্ডিল টিন ও ৬ হাজার টাকার ১টি চেক তার হাতে তুলে দেন।
জানাগেছে কালীগঞ্জ উপজেলার দুই নং কাশীরাম হামকুড়া গ্রামের মৃত্যু আব্দুল জলিলের ছেলে শতবছরের বৃদ্ধে আনারুল ইসলামের ঝড়ে পরিবারটি ২ দিন ধরে খোল আকাশের নিচে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। দুই মেয়েকে রেখেছে আবার অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে।
গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালীগঞ্জের, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। ৫ মিনিটের ঝড়ে ৩/ থেকে ৪ গ্রামের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।তবে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। ওই ইউনিয়নের প্রায় বিভিন্ন গ্রামে লণ্ডভণ্ড করে দেয় ঝড়টি।
এতে ভেঙে পড়ে উপজেলার প্রায় শতাধিক কাচাঁ ঘর-বাড়ি। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে দু’দিন ধরে বসবাস করছেন ওই পরিবারগুলো। কেউবা আবার আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।শুধু ঘর-বাড়ি নয়, ঝড়ে নষ্ট হয়েছে অনেক সবজি ক্ষেত ও পাকা ধান। বিনষ্ট হয়েছে অনেক ফলজ ও বনজ গাছ-পালা। হেলে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। ফলে ওই এলকাগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে দু’দিন ধরে।
উপজেলার কাশিরাম গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত শত বছরের বৃদ্ধ আনারুল ইসলাম কান্না জরিতো কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঝড়ে আমার সব কিছু উড়িয়ে নিয়ে গেছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। টাকা পয়সার অভাবে ঘর তুলতে পারছি না।’‘ঝড়ে ঘর-বাড়ি ভেঙে দিয়ে গেছে। এখন সবাই খোলা আকাশের নিচে দিন রাত কাটাচ্ছি।’
যদি দয়া করি মোক একনা সরকারী ঘর কাও দেইল হায় বাবাএদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এ সময় তারা ঝড়ে নিঃস্ব হওয়া পরিবারগুলোকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান বলেন, আমরা আনারুলের প্রয়োজনী ব্যবস্থা করে দিয়েছি মন্ত্রী মহোদয়ের কথায়, পরবর্তীতে যদি আনারুল সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য বলেই মনে করি তাহলে তাকে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন