সংরক্ষিত নারী আসন : তারেকের পছন্দ শ্যামা-রুমিন!
একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ইতিমধ্যেই সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে লবিং-তদবির ও দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে নারী নেত্রীরা। শীর্ষনেতাদের কাছে সাংগঠনিক যোগ্যতা ও রাজনৈতিক ভূমিকা তুলে ধরে মনোনয়ন চাইছেন তারা।
এদিকে, রাজনৈতিক দক্ষতা ও যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করা হলে মনোনয়ন পাবেন, এমন প্রত্যাশাও করছেন বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী। দলের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।
তবে, নারী প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কোনো ভূমিকা রাখতে চাইছেন না। বিষয়টি তারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন। নিয়মানুযায়ী বিএনপি একটি সংরক্ষিত নারী আসন পাবে।
এদিকে দলীয় সূত্র বলছে, ইতিমধ্যেই সেই একটি মাত্র আসনে এমপি হতে বিএনপি নেত্রীদের মধ্যে অনেকেই গোপনে গোপনে লন্ডনে লবিং-গ্রুপিং করছেন।
তাদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের স্ত্রী আসিফা আশরাফী পাপিয়া, সাবেক মহিলা এমপি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনির নামও শোনা যাচ্ছে।
তবে, এদের মধ্যে লন্ডন দৌড়ে এগিয়ে আছেন শ্যামা ওবায়েদ ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এই দুইজন তারেক রহমানের গুডবুকে আছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত সোমবার ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শরিক নেতাদের জানান, সংরক্ষিত নারী আসনে একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে নির্দিষ্ট কারও নাম জানাননি তিনি। ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
সংবিধান অনুসারে, ৩০০ আসনের বিপরীতে ৫০টি সংরক্ষিত আসন বণ্টন করা হয়। এ ক্ষেত্রে একটি রাজনৈতিক দলের ছয়জন সংসদ সদস্যের বিপরীতে একজন নারী সদস্য নির্বাচিত করা হন। স্বতন্ত্র সদস্যদের ক্ষেত্রেও একই অনুপাত অনুসরণ করা হয়। একটি দল যতটি নারী আসন পাবে, নির্বাচনে ততজনই প্রার্থী দিলে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। একাধিক প্রার্থী থাকলে তফসিল অনুসারে ভোটের মাধ্যমে এমপি নির্বাচন করা হয়। নিয়মানুসারে বিএনপির পাঁচজন নির্বাচিত এমপির বিপরীতে একটি আসন খালি রয়েছে। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনের ৫০ জন এমপির মধ্যে ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এরই মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন