সন্তানের পড়ার সময় মনোযোগ ধরে রাখার কিছু উপায়
পড়তে ভালো লাগে না, এ কথা শুনতে কোনো অভিভাবকেরই ভালো লাগবে না সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অল্প কিছু জিনিসের ভঙ্গি বদলেই পড়াশোনা হয়ে উঠতে পারে আনন্দময়! কী সেগুলো? চলুন জেনে নেই কীভাবে সন্তানের পড়ার সময়টাকে সুন্দর করে মনোযোগ ধরে রাখা যায়।
ঠিক রাখুন টিভি ব্যবস্থাপনা : এটা ঠিক যে টেলিভিশনে আসক্তি পড়ার ক্ষতি করে, কিন্তু তাই বলে টেলিভিশন দেখা বন্ধ করে দেয়া মোটেও কোনো সমাধান নয়। প্রিয় অনুষ্ঠানটি দেখে ওর মন ভালো হয়ে যাবে, তখন আপনি পড়তে বসতে বললে খুব একটু আপত্তি করবে না হয়তো।
বিরতি নিতে দিন : শিশুরা স্বভাবগত ভাবেই কিছুটা চঞ্চল হয়ে থাকে। ক্লাশ টেনে পড়া একজন শিক্ষার্থী টানা এক ঘন্টা মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারে, অপরদিকে একজন কিন্ডারগার্টেনে পড়া শিশুর পক্ষে টানা পনের মিনিট পড়াটাই অনেক। তাই তার চঞ্চলতাকে কিছুটা প্রশ্রয় দিতেই হবে।
নোট করতে শেখান : বেশিরভাগ শিশুই মনে করে যে ক্লাশে শিক্ষক যা লিখছেন তার প্রতিটি শব্দ লিখে ফেললেই নোট নেয়া হয়ে যায়। হ্যাঁ, তা হয়, তবে তা সবসময় খুব ফলপ্রসূ নাও হতে পারে। নোট লিখতে গেলে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের পাশে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা, অথবা বিশেষ অংশগুলো হাইলাইট করলে তা পড়ার সময় সহায়তা করতে পারে।
খেলতে খেলতেই শিখুক পড়া : তাকে সায়েন্স কিট বা এ জাতীয় শিক্ষণীয় উপকরণ দিতে পারেন। এতে করে হবে কী, সে এক্সপেরিমেন্টগুলো করবে, ম্যানুয়াল বই পড়বে, সেই সাথে খেলতে খেলতেই শিখে যাবে! এটা একদম ম্যাজিকের মত কাজ করে, ট্রাই করেই দেখুন না!
ক্যালেন্ডারে থাকুক পাঠচিহ্ন : একটা বড় রঙচঙে ক্যালেন্ডার কিনুন। সেখানে বিশেষ দিনগুলিকে রঙিন পেন্সিল দিয়ে দাগ দিতে বলুন আপনার সন্তানকে। যেমন, ক্লাস টেস্ট, সেমিস্টার ফাইনাল, ইত্যাদি দিনগুলিকে আলাদা আলাদা রঙে রাঙাতে দিন। এতে করে সে পরীক্ষার জন্যে মানসিক ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবে। দূর হবে পরীক্ষা ভীতি।
হোমওয়ার্ক হোক সঠিক নিয়মে : কোনরকমে হোমওয়ার্ক করাটাই কিন্তু সব নয়! অনীহা থেকে তা করলে মোটেও ভালো ফল এনে দেবে না। এজন্যে এ কাজগুলো করতে পারেন-
*প্রতিটি অধ্যায় পড়া শেষে ছোট্ট নোট নিতে বলতে পারেন।
* বড় কোন কিছু করতে না দিয়ে স্রেফ বইটি উল্টে-পাল্টে দেখতে বলুন।
* টেবিল এবং চার্ট আকারে তার পড়া প্রস্তুত করে দিন।
* সুন্দর নকশা করা কার্ডে সূত্র, বানান, গুরুত্বপূর্ণ তারিখ, ইত্যাদি লিখে দিন।
* পড়া শেষে সে কী শিখলো? তাকে নিজের ভাষায় বলতে দিন, মোটেও গতানুগতিক কেতাবী ভঙ্গিতে নয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন