সন্ধ্যায় শুরু এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই
আগামী বছর ইংল্যান্ডে বসবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর। তার আগে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মাঠে নামছে এশিয়ার ৬টি দেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের চতুর্দশ আসরটি। গেল আসর টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে হলেও এবারকার আসর অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। ম্যাচগুলো শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায়।
এবারের এশিয়া কাপে অংশ নেওয়া দলগুলো হচ্ছে—বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। এর মধ্যে বাংলাদেশ পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে। তাদের গ্রুপসঙ্গী শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপের দলগুলো হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান ও হংকং। গ্রুপপর্বের খেলা শেষে দুই গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুইটি করে দল উঠবে সুপার ফোরে। সেখানে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল খেলবে ২৮ সেপ্টেম্বরের ফাইনাল।
এবারের আসরে সবচেয়ে ফেভারিট দল মানা হচ্ছে পাকিস্তানকে। গেল বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতা দলটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়েই আমিরাতে গিয়েছে। ফখর জামান, ইমাম উল হকদের মতো ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি হাসান আলীর মতো প্রতিশ্রুতিশীল বোলার রয়েছে দলটিতে। আরব আমিরাতের কন্ডিশনও দলটির খুব চেনা। অন্য দলগুলোর চেয়ে সরফরাজ আহমেদের দলটিই আমিরাতের কন্ডিশনে সবচেয়ে বেশি খেলেছে।
এদিকে এশিয়া কাপে ভারত বরাবরই সফল দল। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৬ বার শিরোপা জিতেছে তারা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ভারত। এবারও অন্যতম ফেভারিট তারা। তবে নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলির অনুপস্থিতি দলটিকে কিছুটা দুর্বল করে দিয়েছে বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। যদিও মার্চে কোহলিকে ছাড়াই নিদাহাস ট্রফি জিতেছিল রোহিত শর্মার দল।
ভারতের পর সাফল্যের বিবেচনায় এশিয়া কাপের সফল দল শ্রীলঙ্কা। তবে দলটি এবার ইনজুরির সমস্যায় জর্জরিত। আরব আমিরাতে পাড়ি দেয়ার আগেই ছিটকে যান টেস্ট অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল। আসর শুরুর মাত্র একদিন আগে ছিটকে যান অলরাউন্ডার দানুশকা গুনাথিলাকা। এদিকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে প্রথম দুই ম্যাচে থাকবেন না আকিলা ধনাঞ্জয়াও।
বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে দুইবার। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঘরের মাঠের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যায় টাইগাররা। সেটি ছিল অবশ্য টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে। এবার ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরেছে টুর্নামেন্টটি। আর এই ফরম্যাটে টাইগাররা বরাবরই দুর্দান্ত। নিজেদের দিনে যেকোনো দলকেই হারিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দলটি। যদিও আরব আমিরাতের কন্ডিশন কিছুটা দুশ্চিন্তায় রেখেছে টাইগারদের।
এদিকে আফগানিস্তান বর্তমান ক্রিকেটের সবচেয়ে উদীয়মান শক্তি। তারাও জানান দিতে চাইবে নিজেদের সামর্থ্য। আমিরাতের কন্ডিশন তাদের অনেকটাই পরিচিত। ফলে সেই সুবিধা নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে রশিদ খানরাও। আইসিসি’র সদস্য রাষ্ট্র হংকং স্বাগতিক আমিরাতকে হারিয়েই এশিয়া কাপে খেলতে গিয়েছে। উপমহাদেশীয় ক্রিকেটারে ঠাঁসা দলটি এই আসরে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন