সব কিছু ছাপিয়ে উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ : পরিল্পনামন্ত্রী
প্রধান অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, বলেছেন, সব কিছু ছাপিয়ে উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ। যারা সরকারের বিরোধীতা করে তারও অনুধাবন করে একথা। আমরা এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক পেয়েছি যিনি খুবই কৌতহলী। তার কৌতহলেই আজকের পদ্মা সেতু,মেট্রোরেল, কর্নফুলি টানেল এমনকি মহাকাশে স্যাটেলাইট। প্রধানমন্ত্রী বসে আছেন, আপনারা বাস্তবধর্মী আইডিয়া দেন,তা বাস্তবায়নের পথ মসৃন করবে বঙ্গবন্ধু কন্যা। হাওরের টেকসই উন্নয়নে পরিবেশের ওপর সর্ব্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতে হবে। হাওরের সাথে খাদ্য উৎপাদন ও মৎস্য উৎপাদন রয়েছে যা সমগ্রিক রাষ্ট্রের উন্নয়নে অংশিদার।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলনকক্ষে হাওর অঞ্চলের টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএম রেজাউল মোস্তফা কামাল,অতিরিক্ত সচিব পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন,প্রকল্প পরিচালক মো: আসাদুজ্জামান।
গেস্ট অব অনার পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক,এমপি বলেছেন; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সোনারবাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাওরের জনগণের বিষয়ে সবসময়ই চিন্তা করেন। প্রকৌশলীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এবছর আগাম বন্যায় হাওরাঞ্চলে ক্ষতির পরিমান কমানো সম্ভব হয়েছে। এবছর বন্যায় পাচ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাওরাঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার। কেবল ভূপ্রকৃতিগত বৈচিত্র্যের কারণেই নয়;অর্থনৈতিক, সামাজিক,সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃষ্টিকোণ থেকেও সম্ভাবনার বিরাট স্থানজুড়ে আছে হাওর। হাওরের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। হাওরাঞ্চলের নদী ও খালগুলো খনন করা হলে পানি সহজে বের হয়ে যাবে সময়মতো ফসলের আবাদ করা যাবে। বাংলাদেশের মোট ধান উৎপাদনের একটি বড় অংশ আসে হাওর থেকে। ভবিষতে হাওরের টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিসহ খাদ্যে স্বয়ং সম্পুর্নতা অর্জিত হবে।
গেস্ট অব অনার উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় দেশে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা একতৃতীয়াংশ কমেছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে সবক্ষেত্রে সফলতা। এখন লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশের। হাওর অঞ্চলে বছরে প্রায় দুই থেকে পাঁচ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।কৃষি উৎপাদনে,মাছ উৎপাদনে এবং অন্যান্য অ্যাকোয়াকালচার ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি হাওর অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রায়ও বৃষ্টিপাতের একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশে হাওরের মানুষ পানিতে ঢুবে থাকবে তা হতে পারে না। হাওরের তাৎপর্য তুলে ধরে হাওরের জন্য বাস্তবতার ভিত্তিতে স্থায়ী সমাধানের পথ খুজে তা বাস্তবায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী হাওরের স্থায়ী সমাধান চান।
বিশেষ অতিথি সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার,পিএএ ও ড.আইনুন নিশাদ,বিশিষ্ট পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ। সভাপতিত্ব করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফজলুর রশিদ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন