সমস্যায় জর্জরিত নোবিপ্রবির খাদিজা হলের ওয়াশরুম

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ছাত্রী হল গুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন হযরত বিবি খাদিজা হল। দীর্ঘদিন যাবত নানা রকম সমস্যার জর্জরিত হয়ে নাজুক অবস্থায় হলটি।হলের ওয়াশরুম ও গোসলখানার জরাজীর্ণ দশার কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

হল সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪০০ এর অধিক শিক্ষার্থী বসবাস করা পুরোনো এ হলের সামনের ও পেছনের ব্লকের বেশ কিছু ওয়াশরুম ও গোসলখানার দরজা ভাঙা । কোনো দরজার নিচের দিকের পুরো অর্ধেক ভাঙা, আবার কোনো কোনো দরজার কপাট ভাঙা। এছাড়াও অতিরিক্ত পুরোনো হওয়ার কারনে কাঠের দরজা পোকা খেয়ে নষ্ট হয়ে পড়েছে যা সময়ের সাথে ভেঙে ভেঙে পড়ছে। ফলে দূর্ভোগে দিননিপাত করছে হলের শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন,’ আমাদের ব্লকের তিনটি গোসলখানার দুটির দরজাই ভাঙা যা একেবারে অব্যবহার্য হয়ে পড়েছে। বাকি একটি পরিপূর্ণ ঠিক না হলেও সেটি দিয়েই আমাদের দিন চালাতে হচ্ছে। একটি গোসলখানা পুরো ব্লকের সবাই ব্যবহার করে এতে করে আমাদের লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যা আমাদের জন্য দুর্ভোগের।

অন্য একজন আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ অনেকদিন ধরেই আমরা অর্ধেক ভাঙা দরজার গোসলখানা ব্যবহার করতাম। কিন্তু এখন সেটির কপাট ভেঙে পুরো ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অফিসে বারবার জানানোর পরেও এটি নিয়ে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।’

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের চারপাশ নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়না, এক পাশ পরিষ্কার করলেও অপরপাশ থাকে ময়লাচ্ছন্ন ও অপরিচ্ছন্ন। দীর্ঘদিন ওয়াইফাই সমস্যাতেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান তারা।

এই নিয়ে বিবি খাদিজা হলের প্রভোস্ট ড.মো:মামুনুর রশীদ এর কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন- আমরা কিছুদিন আগে হলের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছিলাম, সেখানে শিক্ষার্থীরা তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলো। এ বিষয়টি আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অধীনে।

আমাদের কাজ তাঁদের অবহিত করা। আমি বার বার তাঁদের চিঠি দেওয়ার পরও তারা তাঁদের সীমাবদ্ধতার কারণে শুরু করতে পারছে না। এছাড়াও তিনি হলের ওয়াইফাই সংকট নিরসনের জন্য আইটি সেলের সাথে সমন্বয় করে কাজ শুরু করার কথা জানান।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহম্মেদ বিন আলম (জাভেদ) বলেন – বিবি খাদিজা হল প্রশাসন এর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নতুন তিনটি দরজা স্থাপনের কাজ চলমান আছে।আগামী সপ্তাহের মধ্যে স্থাপনের কাজ শেষ হবে।