সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে রোববার সকাল ১০টা থেকেই নেতা কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। মূল সমাবেশ শুরু হবে দুপুর ২টায়।

গত নভেম্বরের পর এবারই সেপ্টেম্বরে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। এই সমাবেশ যত সম্ভব বড় করে কর্মী সমর্থকদেরকে আত্মবিশ্বাসী করার পাশাপাশি সরকারকেও বার্তা দিতে চায় বিএনপি।

সামনে নির্বাচনকে সামনে রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরা ছাড়াও ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে কী করা হবে তা নিয়েও ১২ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরবে। কার্যত, এই জনসভার মাধ্যমে পুরো অক্টোবর জুড়েই রাজপথে সরব থাকতে চায় বিএনপি।

এ সমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জনসভা থেকে দলের শীর্ষ নেতারা আগামী দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিবেন বলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এছাড়া সংবিধানের ভেতর থেকেও আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে ‘গ্রহণযোগ্য’ করা যায়, সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে বিএনপি। আজ জনসভায় সেটি তুলে ধরা হতে পারে।

বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন নিয়ে একটি প্রস্তাব দেয়া হতে পারে আজকের জনসভা থেকে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা কীভাবে সংবিধানের ভেতরে থেকেই নির্দলীয় রাখা যায়, সে জন্য দলের আইনজীবী নেতারা একটি প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছেন।

‘প্রস্তাবে সংবিধান মেনে রাষ্ট্রপতি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং তার সঙ্গে পরামর্শক্রমে ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়ার কথা বলা আছে। তবে কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে সংবিধান সংশোধন করার দাবিও থাকবে।’

দলীয় এমন ভাবনার কথা কয়েকদিন আগে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রকাশ্যেই বলেছেন।