সরকার সার নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হতে দেবে না : কৃষিমন্ত্রী
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টন সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদন বজায় রাখতে সারের দাম বাড়ানো হবে না। সারের কোনোরকম সংকটও হবে না।
সোমবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বিসিআইসির চেয়ারম্যানসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে সারের কোনো সংকট হয়নি। সারের সংকটের কথা মানুষ ভুলে গেছে, সার নিয়ে কোনো মানুষের মধ্যে কোনোরকম শঙ্কা নেই। অথচ বিএনপির আমলে কৃষক সার পায়নি, সারের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯জন কৃষককে প্রাণ দিতে হয়েছিল। তিনি বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরকার সার নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হতে দেবে না।
ড. রাজ্জাক বলেন, ‘গত চার বছরে সরকার সারের দাম এক টাকাও বাড়ায়নি। অর্থ যোগান দিতে না পারায় অর্থ মন্ত্রণালয় সারের দাম বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অনড়, কিছুতেই তিনি সারের দাম বাড়াবেন না। মন্ত্রী বলেন, ‘এ পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এ মতবিনিময়, এ বছরও সরকারের সারের দাম বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। সারের দাম বাড়ানো হবে না।
স্থানীয়ভাবে সার উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন বিসিআইসির (বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন) সার কারখানাগুলোর যে সক্ষমতা আছে, যদি গ্যাস সরবরাহ করা যায় তাহলে খুব কম পরিমাণে সার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে বা করতে হবেই না, আমরা এমন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি।
চলতি অর্থবছরে সারে কতটা ভর্তুকি দিতে হবে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বছর শেষ হওয়ার আগে তা বলা যাচ্ছে না। তবে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে, আরো ১১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার অপেক্ষায়। বছরে শেষে বলা যাবে আসলে কত টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
আগামী অর্থবছরে ২৭ লাখ টন ইউরিয়া, ১৬ লাখ টন ডিএপি, সাড়ে ৭ লাখ টন টিএসপি, ৯ লাখ টন এমওপি, ৩০ হাজার টন এমওপি, ৩০ হাজার টন এনপিকেএস, সাড়ে ৫ লাখ টন জিপসাম, এক লাখ ৪০ হাজার টন জিংক সালফেট, ২ হাজার ৫০০ টন অ্যামোনিয়াম সালফেট, ৯০ হাজার টন ম্যাগনেশিয়াম সালফেট এবং ৫০ হাজার টন বোরন প্রয়োজন হবে বলে মন্ত্রী জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন