সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে বিএনপি-জামায়াতের ভিন্ন অবস্থান ‘কৌশলগত’!

সরকারবিরোধী চলমান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। অভিন্ন দাবিতে পৃথক কর্মসূচি থাকায় রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে নানা মুখরোচক গল্প শোনা যাচ্ছে।

জামায়াত নেতারা বলছেন, লক্ষ্য যেহেতু এক সেক্ষেত্রে আবার ঐক্যের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপি নেতারা জামায়াতকে সন্দেহের চোখে দেখছেন।

২৮ জুলাই বিএনপিসহ ৩৬টি রাজনৈতিক দল রাজধানী ঢাকায় সরকারের পদত্যাগ দাবিতে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। একই দিনে আবার মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত। ২৮ জুলাই, ৩০ জুলাই এবং ১ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জামায়াত নেতাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। দীর্ঘদিন এই দুটি দল একসঙ্গে রাজপথে সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকলেও বর্তমান সময়ের চিত্র ভিন্ন।

বিএনপির মহাসমাবেশের দিন জামায়াতের কর্মসূচি বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য আজিজুর রহমান বলেন, এটা হচ্ছে জামায়াতের যে দাবি সেটা জনগণের সামনে তুলে ধরা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা জামায়াতের মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের পরিচালক আলী আশরাফুল আলম ইমন বলেন, কর্মসূচির ব্যাপারে বিএনপি আমাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে কোনো আলোচনা করেনি, তাই আমরা আমাদের মতো করে কর্মসূচি পালন করছি। যেহেতু অভিন্ন লক্ষ্য আমাদের, সামনে আবার তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ আছে।

জামায়াতকে বাদ রেখে বিএনপি বাকি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়েই কি সরকার পতনের জন্য বদ্ধপরিকর এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার বলেন, জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন মাঠের কর্মসূচিতে নিষ্ক্রিয়। দীর্ঘদিন পর তারা রাজধানীতে একটা সমাবেশ করেছে, এই সমাবেশ নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখানোর চেষ্টা করেছেন। গণতন্ত্র বিঘ্ন ঘটানোর জন্য যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেখানে সমাবেশ করে জামায়াতের লোকজন তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাদের অতীত আন্দোলনের ইতিহাসও সন্দেহজনক।

বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক এখন কেমন এমন প্রশ্নের জবাবে সম্প্রতি এক আলাপচারিতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, এটা আওয়ামী লীগকে জিজ্ঞেস করেন। এটা বিএনপির জন্য প্রযোজ্য নয়।