সরকারি চাকরি বলে যা খুশি তাই করবেন না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনাদের মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা দেশ গড়ার কাজে লাগাতে হবে। সরকারি চাকরি বলে যা খুশি তাই করবেন না। লাল ফিতা/সাদা ফিতার দৌরাত্ম্য প্রশাসনে যেন না থাকে। প্রশাসনে এমনভাবে কাজ করবেন যেন আপনাদের সন্তানরা এদেশে ভালোভাবে বসবাস করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সময় শেষ। আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন। জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নেই। এ জন্য কোনো আক্ষেপ নেই। তবে দেশটাকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিয়েছি সেটা যেন অব্যাহত থাকে।
আজ (সোমবার) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন পদক-২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমদ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন ও অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পদক, সার্টিফিকেট ও চেক তুলে দেন। আর তাকে শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ ক্রেস্ট প্রদান করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের এ দেশ দিয়ে গেছেন বলেই আপনারা রাষ্ট্রের উচ্চ পদে আসীন হচ্ছেন। পাকিস্তান আমলে প্রশাসনে বাঙালীদের কী অবস্থা ছিল তা দেখেছেন।’
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রির জন্য আপনাদের অনেক সময় বিদেশ পাঠানো হয়। ডিগ্রি নিজের জন্য নয়, দেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাবেন। মানুষের জীবনমানের যেন উন্নয়ন হয় সে কাজে লাগাবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের উন্নয়নের জন্য আত্মনিয়োগ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। দেশ অনেক দূর এগিয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট সব শেষ করে দিয়েছে। এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা নিজেদের ভাগ্য বদলে কাজ করেছেন। ফলে দেশের উন্নয়ন হয়নি। সরকারি কর্মকর্তারা যারা কাজ করতে চেয়েছেন তাদেরও কাজ করতে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ‘দেশ চালানোর জন্য ভিশন লাগে। লক্ষ্য স্থির করতে হয়। এই লক্ষ্য স্থির করে কাজ করেছি বলে আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে পারছি। আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চাই সেই লক্ষ্য স্থির করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধির জন্য এবং কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির জন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ পদক শুধু কর্মকর্তাদের উৎসাহই দিচ্ছে না বরং এ পদক্ষেপ প্রশাসনে সেবার মানও বৃদ্ধি করেছে। এই পদক প্রদান কর্মকর্তাদের মধ্য উৎসাহ সৃষ্টি করেছে।’ এ সময় পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন