সর্বকনিষ্ঠ ফিলিস্তিনি শহীদের লাশ নিয়ে আহাজারি
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের নৃশংসতার শুরু দখলদার রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠা থেকেই। নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নৃশংসতার আশ্রয় নিয়ে আসছে ইহুদিবাদী দেশটি। শিশু থেকে নারী কিংবা চিকিৎসক থেকে সাংবাদিক এমনকি গর্ভবতী মায়েরও রক্ষা মেলেনি তাদের হাত থেকে।
ইসরাইলি নৃশংসতার সাম্প্রতিক শিকার লাইলা আল-ঘন্দুর। গত কয়েকদিনের হত্যাযজ্ঞে ফিলিস্তিনের কনিষ্ঠতম শহীদ আট মাস বয়সী লাইলা।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইল সীমান্তের কাছে বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দিতে ব্যাপকহারে গুলি, বোমা ও টিয়ারশেল প্রয়োগ করেছে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী।
সেখানে টিয়ারশেলের ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করায় লাইলা নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, সোমবার যখন ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছিল তখন গাজা শহরের পূর্বে আট মাস বয়সী লাইলা আল-ঘন্দুর নিঃশ্বাসের সাথে টিয়ারশেলের ধোঁয়ার গ্রহণ করে।
ঘান্দুর ও তার পরিবারের সদস্যরা ইসরাইল সীমান্তের কতটা কাছাকাছি ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোমবার ফিলিস্তিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ইসরাইলি বাহিনীর গুলি, বোমা ও টিয়ারশেলে ৫৮ জন নিহত হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভূমি দিবস উপলক্ষে ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার দাবিতে পদযাত্রার আয়োজন করে আসছে। ১৯৪৮ সালে তাদের ওই অঞ্চল থেকে জোর করে উচ্ছেদ করা হয়।
মার্চ ৩০ তারিখে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে পাঁচটি জায়গায় সমবেত হচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদের এই কেন্দ্রগুলো সীমান্তের কাছাকাছি এবং তা থেকে দূরে যেখানে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর বাস করে এই উভয় জায়গাতেই রয়েছে।
এই কর্মসূচি শুরুর পর ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ১১০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দু হাজারের বেশি মানুষ।
সোমবার স্থানীয় সাংবাদিক মারাম হুমাইদ আলজাজিরাকে বলেন, ‘গত সাত সপ্তাহে এই বিক্ষোভ সমাবেশে যত মানুষ সমবেত হয়েছিলেন তার তুলনায় আজকে বহুগুণ বেশি ফিলিস্তিনি প্রতিবাদের জন্য জড়ো হয়েছেন।’
গত ৩০ মার্চ শুরু হওয়া এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি আজ মঙ্গলবার (১৫ মে) শেষ হওয়ার কথা ছিল।
সোমবার জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইল বিতর্কিত দূতাবাস উদ্বোধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ফিলিস্তিন। জেরুজালেমের পূর্ব অংশকে ফিলিস্তিনিরা তাদের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করায় যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয় তারা।
প্রায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি ইসরাইল সীমান্ত বরাবর জড়ো হয় এবং কয়েকটি ছোট ছোট দল এটি অতিক্রম করার চেষ্টা করে। ইসরাইলি বাহিনী এসময় ফিলিস্তিনিদের ওপর স্নাইপার রাইফেলের গুলি ও টিয়ারশেল প্রয়োগ করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন