সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে চারটি স্তরে গুরুত্ব দিতে হবে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

নাগরিক সুরক্ষায় সচেতনতা ও কারিগরি জ্ঞানের ওপর গুরুত্বারোপ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে হলে আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও সমাজ- এই ৪টি স্তরে গুরুত্ব দিতে হবে। সাইবার হামলার হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষা প্রদান করতে হলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যদি কারো অর্থ বা তথ্য চুরি করতে চায় তাহলে সাইবার অ্যাটাক করে চুরি করে নিতে পারে। সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে এখনই সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান ।

প্রতিমন্ত্রী রবিবার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

‘তথ্য আগামী দিনের অর্থ’ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে গঠিত সার্ট থেকে ২৯টি স্পর্শকাতর তথ্য অবকাঠামোর (সিআইআই) সুরক্ষা ও তদারকিতে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানেই একটি করে নিজস্ব সার্ট টিম থাকা দরকার। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখা সম্ভব নয় মন্তব্য করে সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্টের নির্দেশনা না মানা এবং টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে এমনটা ঘটেছে। হ্যাক নয়, সিস্টেম দুর্বলতার কারণে একটি সরকারি ওয়েবসাইটে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য উন্মোচন হয়েছিল। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় রোধ এবং ডেটার সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে সতর্কতার সঙ্গে একটি ‘ডেটা সুরক্ষা আইন’ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী ।

পলক বলেন ডিজিটাল স্বাক্ষরতা, সাইবার সুরক্ষা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এই তিনটি বিষয়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি তাদের কারিগরি সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এই কাজটি করতে হবে সম্মিলিত ভাবে। কোনো দেশ একা একা নিজেদের ন্যাশনাল সাইবার স্পেস নিরাপদ রাখতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।