সাকিবই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার?
সাকিব আল হাসানের কেরিয়ার শুরু হয় ২০০৬ সাল থেকে। এরপর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি।
সাকিবের অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নির্বাচন প্রক্রিয়া বা দল নিয়ে নানা ধরণের প্রশ্ন, আলোচনা ও সমালোচনা থাকলেও একমাত্র সাকিব আল হাসানের দলে জায়গা নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠেনি।
ব্যাটে ও বলে তিনি পারফর্ম করে যান নিয়মিত।
মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে দলে সুযোগ পেলেও কোচ জেমি সিডন্সের অধীনে থাকাকালীন সাকিব পুরোদস্তুর স্পিনারও বনে যান।
নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্পিন দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন।
এরপর তার নেতৃত্বে ২০১১ বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ।
বিবিসি বাংলার মুখোমুখি সাকিব আল হাসান
কেরিয়ারের নানা দিক নিয়ে বিবিসি বাংলার সাথে ২০১৮ সালের নভেম্বরে কথা বলেন সাকিব আল হাসান। সেখান থেকে কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হল।
বোলার হয়ে ওঠা কিভাবে?
বোলিং সব সময়ই করতাম ওয়ানডে ম্যাচে প্রতিদিন দশ ওভার বোলিং করি, কিন্তু টেস্টে মেইন স্পিনার হয়ে ওঠা হয়নি। জেমি আমাকে সেই দায়িত্ব দেয়।
প্রিয় প্রতিপক্ষ?
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমার কিছু ভালো পারফরম্যান্স আছে। দেশ হিসেবে ওদের ভালো লাগে, ওরকম প্রিয় প্রতিপক্ষ নেই। তবে দর্শকদের কথা ভাবলে ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের ইনটেন্সিটি বেশি থাকে।
বোলিংয়ের সময় সবচেয়ে কঠিন ব্যাটসম্যান?
অনেকেই আছে, কঠিন হোক আর যাই হোক সবার উইকেটই পেয়েছি, শুধু ক্রিস গেইল বাদে।
ব্যাটিংয়ের সময় কঠিন বোলার?
ব্যাটিংয়ের সময় মূলত কন্ডিশনের কারণে বোলারদের কঠিন লাগে। স্পিনিং ট্র্যাক হলে ব্যাটিংয়ের সময় স্পিন খেলতে কঠিন, সিমিং ট্র্যাক হলে সিমারদের কঠিন লাগে।
পেশাদারিত্ব নাকি দেশপ্রেম?
দেশপ্রেম সবার মধ্যেই আছে, যে যেখান থেকে যার সাধ্যমত করার চেষ্টা করে সবসময়। এটা ভাগ করে দেয়ার কিছু নেই। এটা একটা দায়বদ্ধতা। দলে প্রয়োজনে সেটুকু দেয়া প্রয়োজন সেটুকু দেখাই আমার লক্ষ্য।
বিশ্বকাপে লক্ষ্য
সবারই লক্ষ্য বিশ্বকাপ জেতা। কিন্তু আমাদের প্রথম টার্গেট হওয়া উচিৎ সেমিফাইনাল। ওই পর্যন্ত যাওয়াটাই কঠিন, কারণ এরপর দুটো ম্যাচ জিতলে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু সেমিতে খেলার আগে পাচঁ থেকে ছয়টি ম্যাচ ভালোমতো জিততে হবে।
এক নজরে সাকিবের ওয়ানডে কেরিয়ার
ম্যাচ ২০৬
মোট রান ৫৬৩৮
উইকেট ২৬২
ব্যাটিং গড় ৩৫
বোলিং গড় ৩১.৫৫
ইকোনমি৪.৮১
* ২০শে মে, ২০১৯ পর্যন্ত
সাকিবের যত রেকর্ড
ক্রিকেট ইতিহাসেই টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ধরনের ক্রিকেটে একই সময়ে এক নম্বরে থাকা একমাত্র ক্রিকেটার তিনি।
২০১৫ সালে সাকিব এই কৃতিত্ব প্রথম করে দেখান।
সাকিব এই কৃতিত্ব আবার করে দেখিয়েছেন, যা আর কোন দেশের ক্রিকেটার পারেননি।
ওয়ানডেতে ৫ হাজার রান ও ২০০ মাইলফলক স্পর্শ করা দ্রুততম ক্রিকেটার সাকিব, মাত্র ১৭৮টি ওয়ানডে লেগেছে তার।
সাকিব টেস্ট ক্রিকেটে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি আর ১০ উইকেট নেন। সাকিবসহ এই রেকর্ড আছে মাত্র চারজন অলরাউন্ডারের, বাকি তিনজন হলেন – ইয়ান বোথাম ও ইমরান খান ও অস্ট্রেলিয়ার একে ডেভিডসন।
বাংলাদেশের সেরা তিন ওয়ানডে ব্যাটসম্যান
বাংলাদেশের সেরা তিন ওয়ানডে বোলার
দু্ই তালিকায়তেই বাংলাদেশের সেরা তিনে আছেন সাকিব আল হাসান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন