সাতক্ষীরা-১ : টেনশনে আ.লীগ, স্বস্তিতে বিএনপি
রাজনৈতিক জটিল সমীকরণের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনটি। আসনটিতে মহাজোটের কেউ কাউকে ছাড় দিতে চান না। তবে সেদিক থেকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব স্বস্তিতে রয়েছেন। অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন তিনি।
দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নের দাবিতে দুই উপজেলায় পৃথক পৃথক সভা-সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি মহাজোটের মনোনয়নের দাবিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখতও সভা-সমাবেশ ও নির্বাচনী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে মাঠে রয়েছেন।
২০০৮ সালে মহাজোটের নির্বাচনে এ আসন থেকে জয়লাভ করেন সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একক নির্বাচনে মহাজোটের হয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি হন।
এরপর থেকে বিভিন্ন কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। তাই এবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চায় দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন।
এ লক্ষ্যে তারা দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে এক কাঁতারে দাঁড়িয়েছেন। গত বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একসঙ্গে মনোনয়ন দাখিল করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ মুজিবর রহমান, সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা বিএম নজরুল ইসলাম, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি বিশ্বজিত সাধু।
জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে জাপার কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ দিদার বখ্ত, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের ইজ্জত উল্লাহ, জাসদের শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম বলেন, কোনোভাবে আমরা এ আসনটি ওয়ার্কার্স পার্টির কাছে ছাড় দিতে চাই না। বর্তমান এমপি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবেন না। তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। আমরা এখানে দলীয় প্রার্থীকে চাই। ইতোমধ্যে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে আমরা মনোনয়ন প্রত্যাশী ৫ জন একযোগে মনোনয়ন দাখিল করেছি। দলীয় নেত্রীকে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। তিনি অবশ্যই একটা সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন।
তবে এ আসনে এখনো মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান এমপি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। যদিও এটা মানতে নারাজ তালা ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বৃহৎ একটি অংশ।
জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত সবশেষ মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা না হলেও লাঙল প্রতীক নিয়ে মাঠে থাকবেন। সেসব দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন এ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব। জনপ্রিয়তার দিক থেকে তাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন