সাংবাদিক সমাজের মানববন্ধন
সাতক্ষীরায় সাংবাদিক টিপুকে আজ মুক্তি না দিলে কাল ডিসি অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট

সাতক্ষীরায় দৈনিক কালের কণ্ঠের তালা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপুকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১০দিনের কারাদন্ড প্রদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিক সমাজ।
বুধবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি।
মানববন্ধনের কর্মসূচি থেকে বুধবারের মধ্যে সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপুকে নি:শর্ত মুক্তি না দিলে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা ডিসি অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আই এর আবুল কালাম আজাদ, সময় টিভির মমতাজ আহমেদ বাপি, আরটিভির রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, দেশ টিভি ও বিডি নিউজের শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, বিএসএস এর আসাদুজ্জামান, ইনডিপেন্টডেন্ট টিভি ও বাংলাদেশ বেতারের আবুল কাশেম, এখন টিভির আহসানুর রহমান রাজিব, দীপ্ত টিভির রঘুনাথ খা, ডিবিসির এম বেলাল হোসাইন, মানবজমিনের এসএম বিপ্লব হোসেন, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত প্রমুখ।
মানববন্ধনের বক্তারা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছিলেন না, বা তার সামনে কোন ঘটনা ঘটেনি। এরপরও তিনি আইন ভঙ্গ করে সাংবাদিক টিপুকে সাজা দিয়েছেন।
বক্তারা টিপুর নি:শর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার, ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমএম মামুন আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
উল্লেখ্য, তালা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন তৈরীর কাজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে গত ২২ এপ্রিল তথ্য সংগ্রহ করতে সরেজমিনে যান সাংবাদিক টিপু। এসময় তালা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এম. এম মামুন আলম তথ্য দিতে অস্বীকার করায় ওই সাংবাদিকের সাথে তার কথাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারিতে রুপ নেয়। বিষয়টি উভয় পক্ষ তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি সরেজমিনে উপস্থিত শ্রমিকসহ স্থানীয়দের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় প্রদান করেন।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমএম মামুন আলম জানান, তিনি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবণের কাজ তদারকির সময় সাংবাদিক টিপু সুলতান কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তার মুখে ঘুষি মারেন। বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সরজমিনে এসে উপস্থিত সকলের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সাংবাদিক টিপুকে ১০দিনের সাজা প্রদান করেন।
সাংবাদিক টিপু জানান, কাজের মান খারাপ হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যান। এসময় উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমএম মামুন আলম তাকে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করে তার কাছে থাকা ছাতা দিয়ে মারতে শুরু করেন।
টিপু আরো জানান, তিনি প্রতিরোধ করতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ মো. রাসেল জানান, একজন সাংবাদিক কর্তৃক আমার একজন কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়েছে- এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত শ্রমিকদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ঘটনা সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১৭৬ ধারায় ১০দিনের সাজা ও দুই শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন