সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উর্দ্ধ গতির বাজারে, ক্রেতারা শূন্য থলিতে ঘুরছেন গলিতে

দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবু: “ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি” কবির এই লাইনটি যেন বাস্তবে রুপ নিয়েছে। স্বাধীনতা দিয়েছো, দিতে পারোনি খাওয়ার অধিকার। না খেয়ে থাকলেও কলারোয়ার মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যাবিত্ত পরিবারে চলছে হাহাকার। ঘরে দুমুটো চাল থাকলেও নেই বাজার সওদা করার মত পর্যাপ্ত পয়সা।

দোকান আছে, বাজার আছে, খাবার আছে, ক্রেতাও আছে কিন্তু কেনার মত টাকা নেই। উর্দ্ধ গতির বাজারে কর্মহীন মানুষ গুলো পরিবার পরিজন নিয়ে দুঃখের প্রহর গুনছেন। তার উপর প্রকৃতি ও যেনো মানুষের উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। প্রচন্ড বৃষ্টিতে ফসল ও কৃষক চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। যার ফরস্রুতিতে সবজি ও অন্যান্য জিনিসের মূল্য অনেক বেশি, মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ইনকাম না থাকলেও নিত্য খরচ চলমান। এমতবস্থায় মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারে চলছে টানাপোড়েন।

কলারোয়ার মাঠ ঘুরে দেখাগেছে, ধান, মাচায় পটল কয়েকটি জায়গায়, লতি কচু, বাঁধা কপি সিমিত পরিসরে এমন কয়েকটি তরকারি চোখে পড়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় যৎসামান্য। ভরা মৌসুমে শীতের তরকারির যদি এই অবস্থা হয় তাহলে কৃষক ও শ্রমজীবি মানুষের অবস্থার কথা বিবেচনা করলেই বোঝা যায় তাদের অবস্থা।

বাজারে ২/৫শত টাকা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় কোনটা কিনি আর কোনটা না কিনি, তাই সাধ্যোর মধ্যো প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনে বাড়ি ফিরতে হয় ক্রেতাদের।

কলারোয়ার কৃষক স্বদেশ মন্ডল কলারোয়া নিউজকে জানিয়েছেন, ২.৫ বিঘা জমিতে পটল চাষ করেছিলেন, প্রচন্ড বৃষ্টিতে ১ বিঘা জমির পটল গাছ মারাগেছে, ১.৫ বিঘা জমিতে পটল রয়েছে কিন্তু জলচাপে সেগুলো মরে যাচ্ছে, জিবিত গাছ গুলোতেও ধরণ খুবি কম। পটল চাষ করে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ তিনি। জমির হারির টাকা কিভাবে দিবেন সেটাই তার ভাবনা।

আরেক কৃষক কার্ত্তিক মুখার্জি জানিয়েছেন, তিনিও পটল চাষ করে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সেই সাথে শীতের অন্যান্য তরকারি যেমন পালং, মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি চাষ করতেন কিন্তু বৃষ্টিতে জমি তৈরী করতে পারেননি চাষ করবেন কিভাবে।

ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজারের তরকারি ব্যাবসায়ী জয়দেব গুপ্ত জনিয়েছেন, বাজারে মানুষ আছে ক্রেতা নেই। কাঁচা তরকারি কিনছেন হাতে গোনা কিছু সংখ্যাক ক্রেতা। তারা কিনলেও পরিমানে অল্প।

কলারোয়ায় এমন হাজারো কৃষক অতি বৃষ্টির কবলে পড়ে শীতের সবজি চাষে বাঁধাগ্রস্থ হয়েছেন। যার ফলে তরকারির বাজার অস্থিতিশীল।

dav