সাতক্ষীরার কলারোয়ার বিএম নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির শোক
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সৈনিক সাতক্ষীরার কলারোয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংসদ, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিএম নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।
এক বিবৃতিতে তারা বিএম নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে জানান, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ নয়, কলারোয়াবাসী একজন অভিভাবক হারালো। যেটি সকলস্তরের জনগণের জন্য বেদনা দায়ক। মহান আল্লাহ্ পাক তাকে বেহেশত দান করুন।’
শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন কলারোয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লা হেল বাবু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি শামছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজিবার রহমান, যুব সমাজের লাবলুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, অনুরূপভাবে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখত্।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) পবিত্র মাহে রমজানের ৫ম রোজায় বেলা ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকাস্থ বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলহাজ বিএম নজরুল ইসলাম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না..রাজিউন)।
তার বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র, ৪ কন্যা ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুনগ্রাী রেখে গেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ বিএম নজরুল ইসলাম ছিলেন সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সাবেক আহবায়ক ও বর্তমান সহ.সভাপতি।
একই সাথে বহু সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছিলো তার হাতের ছোঁয়া ও সম্পৃক্ততা।
বিএম নজরুল ইসলাম কলারোয়ায় নজরুল সাহেব নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। নিজে একটি দলে সক্রিয় সম্পৃক্ত থাকলেও দলীয় আবর্তের বাইরে তিনি ছিলেন দলমতনির্বিশেষে সর্বজনবিদিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
তার মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কলারোয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনের আরো একটি অধ্যায়ের অবসান হলো।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিএম নজরুল ইসলাম হার্টের বাইপাস সার্জারিরত অবস্থায় হঠাৎ কিডনি ও হার্টের সমস্যা অনুভব করায় ডাক্তার শফিকুল ইসলামের পরামর্শে দ্রুততার সাথে বিমান যোগে গত বুধবার রাতে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন