সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অতি বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবন গেলো শিক্ষার্থীর
অতি বেপরোয়া ও দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালানো কাল হলো সাতক্ষীরার কলারোয়ার এক যুবকের।
পণ্যবাহী ট্রাকে সজোরে ধাক্কা মেরে মারাত্মক আহত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে শেষ পর্যন্ত মারা যায় সে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে কলারোয়া প্রাণী সম্পদ অফিসের (পশু হাসপাতাল) সামনে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। রাত ১২টার দিকে খুলনার একটি হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ওই যুবকের নাম আবু রায়হান (২০)। সে উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা গ্রামের শাহজাহান মোড়ল মুহুরীর একমাত্র ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘যশোরমুখি পণ্যবাহী ট্রাকের ডান পাশের মাঝ বরাবর সজোরে এসে মেরে দেয় সাতক্ষীরামুখি অতিদ্রুত বেপরোয়া গতিতে আসা ফিজার মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক। সেসময় মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে রাস্তার পাশে ছিটকে চলে গেলেও যুবকটি ট্রাকের পিছনের চাকার সামনে আটকে রাস্তায় ঘষতে ঘষতে বেশ কিছু দূর চলে যায়। এতে তার পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে, থেথলে ও কেটে যায়। মারাত্মক আহতাবস্থায় তাকে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা দেয়া হলেও তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার গাজী আশিক বাহার, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুজন কুমার দাস তাকে সাতক্ষীরায় রেফার করেন।’
নিহত যুবকের ভগ্নিপতি কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডাক্তার হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আবু রায়হানকে কলারোয়া হাসপাতাল থেকে সাতক্ষীরায় রেফার করা হয়। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে খুলনা সার্জিক্যাল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি আরো জানান, ‘সদ্য ঘোষিত এসএসসি পরীক্ষায় কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল থেকে তার একমাত্র শ্যালক আবু রায়হান উত্তীর্ণ হয়। তারা তিন বোন ও এক ভাই। রায়হান বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোয় এর আগেও ছোটখাটো দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। নিষেধ না শোনা-ই কাল হলো তার। শুক্রবার দুপুরে বাটরা মাদ্রাসা চত্বরে জানাজা নামাজ শেষে দাফন করা হয়।’
এদিকে, দুর্ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক থানার এএসআই রবিউল ও সেলিম রেজার নেতৃত্বে পুলিশ ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-ট-২০-৯৭৬৯) সহ ট্রাকটির ড্রাইভার কলারোয়া পৌরসভাধীন তুলশীডাঙ্গা গ্রামের মায়েনদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৮) ও হেল্পার সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মতিন মঈন উদ্দিন (২৩)কে আটক করে।
কলারোয়া থানা ও হাসপাতাল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, ইদানিং কলারোয়া উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকায় কিছু অল্প বয়সী কিশোর-যুবকদের অতি বেপরোয়া ও দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা যাচ্ছে। হেলেদুলে রেসিং স্টাইলে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে অন্য পথযাত্রীরা থাকেন মহাবিপাকে ও দুর্ঘটনার শংকায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন