সাতক্ষীরার মেয়ে প্রেমের টানে নদী সাঁতরে ভারতে, বিয়ের পর গ্রেফতার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক তরুণের সঙ্গে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সাতক্ষীরার তরুণীর। প্রেমের টানে সুন্দরবনের নদী এবং জঙ্গল পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কালিঘাটে গিয়েছিলেন তিনি। প্রেমিককে বিয়ে করতে ঘণ্টাখানেক মাতলা নদীতে সাঁতার কাটতে হয় তাকে।
সব বিপদ সামলে প্রেমিকের সঙ্গে সংসারও বেঁধেছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু প্রেমের জন্য তার এই জীবনপণ লড়াইয়ের গল্প লোকমুখে ছড়িয়ে পড়াই কাল হয়ে দাঁড়াল। বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে সোমবার ওই তরুণীকে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত তরুণী বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে নরেন্দ্রপুরের রানিয়ার বাসিন্দা অভীক মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় তার। সেই আলাপ প্রেমে পরিণত হয়। অভীককেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু ভারতে ঢোকার জন্য পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না তার কাছে। শেষে সুন্দরবনের জঙ্গল ঘেরা নদী পথ দিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নেন।
প্রেমিককে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে বিপদে ভরা সুন্দরবন জঙ্গল পেরিয়ে নেমে পড়েন মাতলা নদীতে। এ নদীতে যখন তখন বাঘ-কুমিরের মুখে পড়ার আশঙ্কা। কিন্তু সেসব বিপদের তোয়াক্কা না করেই এক ঘণ্টা নদী সাঁতরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৈখালিতে প্রবেশ করেন ওই তরুণী। কালীঘাট মন্দিরে বিয়েও সেরে ফেলেন দুজন। দিন চারেক আগে স্বামী বাড়িতে গিয়ে সুখেই সংসার করছিলেন ওই তরুণী।
প্রেমের জন্য বাংলাদেশি তরুণীর এ সাহসিকতার কাহিনি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। তরুণীর নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকার ঘটনা পুলিশের কানে পৌঁছাতেও দেরি হয়নি। সোমবারই রানিয়া এলাকায় হানা দেয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সাতক্ষীরার ওই তরুণীকে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন