সাতক্ষীরার শ্যামনগর আমার ভালোবাসার গ্রাম


আমি এবিএম কাইয়ুম রাজ। শ্যামনগর আমার জন্মভূমি, আমার শেকড়। ছোটবেলা থেকে এখানকার প্রকৃতি, মানুষ আর সংস্কৃতির সঙ্গে বড় হয়েছি। শ্যামনগরকে আমি শুধু একটা জায়গা হিসেবে দেখি না, এটা আমার অস্তিত্বের একটা অংশ।
আমাদের গ্রামটা সুন্দরবনের খুব কাছে। চারপাশে খাল-বিল, নদী আর সবুজ মাঠের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। সকালে ঘুম ভাঙে পাখির ডাকে, আর সন্ধ্যায় নদীর বাতাস মনে এক অদ্ভুত শান্তি এনে দেয়। শীতের সকালে খেজুরের রস আর পিঠার স্বাদ যেন শ্যামনগরের নিজস্ব পরিচয়।
আমার চাচাতো ভাই ইউনুস আমার ছোটবেলার সঙ্গী। আমরা দুজন প্রায়ই বিকেলে নদীর পাড়ে হাঁটতে বের হতাম, কখনোবা গাছের ছায়ায় বসে গল্প করতাম। চায়ের দোকানে বসে গ্রামের মানুষের নানা আলাপ শুনতে ভালো লাগত। রাজনীতি, জীবনযাত্রা, কৃষিকাজ সবকিছু নিয়েই এখানে আলোচনা চলে।
শ্যামনগরের মানুষ পরিশ্রমী। কৃষকরা মাঠে ফসল ফলায়, জেলেরা নদীতে মাছ ধরে, আর দিনশেষে সবাই একসাথে চায়ের দোকানে জড়ো হয়। তবে এই গ্রামে সংগ্রামও কম নয়। লবণাক্ততা, নদীভাঙন আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয় আমাদের। তবু এখানকার মানুষ হাসিমুখে জীবন কাটায়।
আমি সাংবাদিকতার পথে হাঁটছি, শ্যামনগরের গল্পগুলো তুলে ধরছি। এখানকার প্রকৃতি, মানুষের জীবনযাত্রা, সুখ-দুঃখ সবকিছু আমি শব্দের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাই। শ্যামনগর আমার ভালোবাসার জায়গা, আর এই ভালোবাসা কখনো কমবে না।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন