সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার ও মামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে ‘মিথ্যা ও গায়েবী’ মামলায় গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁর স্ত্রী মোছাঃ রোকছানা পারভীন। শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে রোকছানা পারভীন বলেন, ২৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে উপজেলা কমিটির এক সভা শেষে ফেরার পথে পুলিশ তাঁর স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে শ্যামনগর থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির ‘উপরে চাপ আছে’ উল্লেখ করে কাশিমাড়ী এলাকায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠান।

অথচ ঘটনার সময় চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি জানান, শেখ আব্দুর রহিম কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত না থাকলেও, দুইবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন। এ কারণে তাঁকে জামায়াতপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে নাশকতা মামলাসহ একাধিক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।

রোকছানা পারভীন আরও অভিযোগ করেন, পরানপুর মৌজার ৩২ একর জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের নির্দেশে তাঁর স্বামীকে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি নিয়ম মাফিক লিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও শ্যামনগরের ইউএনও রনি খাতুন আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ওই জমিতে হস্তক্ষেপ করেন এবং জনৈক শরিফুল ইসলামকে জমি দখলের নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ইউএনও রনি খাতুন ব্যক্তিগত আক্রোশে শেখ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা এখনো আগের সরকারের দোসর হিসেবে থেকে গায়েবী মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের নিঃশর্ত মুক্তি ও দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে রোকছানা পারভীন আইজিপি, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানান।