সাতক্ষীরায় একদিনে করোনায় ও উপসর্গে ১০ জনের মৃত্যু
সাতক্ষীরায় ৪র্থ দফার সাত দিনের লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিন চলছে।
এদিকে সাতক্ষীরায় সংক্রমণ হার কিছুটা কমলেও বাড়ছে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। সর্বশেষ ফলাফলে গত ২৪ ঘন্টায় ১৬২ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় ৫০ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা বিবেচনায় হার ৩০.৮৬ শতাংশ।এনিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩শ ৭১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৪শ ৮৫ জন। বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা পজেটিভ রুগীর সংখ্যা ৮ শ ১৬জন।
এদের মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৮৫ জন এদের মধ্যে ২৫জনের করোনা পজেটিভ। ২ জন আইসিইউ তে আছে। সাতক্ষীরার বেসরকারি হাসপাতাল সমূহে ভর্তি ১৫৪ জনের মধ্যে ১৭ জন পজেটিভ।আর বাকিরা তাদের নিজ বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকল কলেজ হাসপাতালে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩শ ৪০জন।
গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২ জন করোনা পজেটিভ রুগীর মৃত্যু হয়েছে।এদের মধ্যে সাতক্ষীরায় মেডিকেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছে।করোনায় মৃত্যু ব্যাক্তির বসা সাতক্ষীরার সদরে।অন্যদিকে খুলনা গাজী মেডিকেলে সাতক্ষীরার একজন করোনা পজেটিভ রুগী চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছে।এনিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্য বরণ করেছে ৭০ জন।
এদিকে, চতুর্থ দফা চলমান লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনও (২৭তম দিন) চলছে হেলাফেলাভাবে। লকডাউনের নামে সড়কে যেনো তামাশা চলছে। ভারি যানবাহন ছাড়া সবই চলছে স্বাভাবিকভাবে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই মানুষ চলাফেরা করছে। হাট বাজার গুলোতেও ভিড় লক্ষনীয়। তবে বেলা ১১ টার পর সব দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও চলছে কেনাবেচা। পুলিশের বাধা ও ব্যারিকেড মানছে না কেউ। লকডাউনের মধ্যে মানুষ নানা অজুহাতে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রশাসন। পুলিশ মোড়ে মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছেন। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবে, শহরের ইজিবাইক, রিকসা, ভ্যান ও মোটর সাইকেলে লোক চলাচল করছেন চোখে পড়ার মত। লকডাউনে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন