সাবেক স্বাস্থ্য ডিজিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় মাস্ক-পিপিইসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক পরিচালক (ওএসডি) ডা. মো. আমিনুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।

দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দলের অন্য সদস্যরা হলেন দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা এবং সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান।

নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ ছাড়াও প্রতারক সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তির প্রসঙ্গেও তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।

গত ২১ জুলাই বিতর্ক আর সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে জনপ্রশাসন সচিবের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক অবসরে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার পর তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাঁকে আরো দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।

বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজে উদ্যোগী হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নিয়োগ দেন। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার পরই তাঁর বিরুদ্ধে চরম দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা শৈথিল্য, পক্ষপাত এবং নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৬ আগস্ট দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে তলব করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিএমএসডি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কভিড-১৯ চিকিৎসার নিমিত্তে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগ বিষয়ে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।

চিঠিতে আরো বলা হয়, উল্লিখিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে রেকর্ডপত্রসহ (যদি থাকে) বক্তব্য প্রদানের জন্য আগামী ১২-০৮-২০২০ তারিখে ১০ ঘটিকায় নিম্ন স্বাক্ষরকরারীর কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।