সাভারে সিআইডি পরিচয়ে সাংবাদিক শামসকে আটক, গণমাধ্যম কর্মীদের নিন্দা
সাভারে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তার ভাড়া বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে আশুলিয়ার আমবাগান এলাকার বাসা থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে জেলা পুলিশ (সাভার/আশুলিয়া থানা) ও সিআইডি তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন শামসুজ্জামান শামস। ২৬ মার্চ প্রথম আলোর অনলাইনে প্রকাশিত একটি শিশুর ছবি ও ক্যাপশনে অসঙ্গতি থাকার প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ১৭ মিনিটের মাথায় প্রথম আলো ছবি ও ক্যাপশন প্রত্যাহার করে এবং ভুল স্বীকার করে জানায়, ছবির ভুলে এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। যদিও গত কয়েকদিন ধরে নেটিজনদের অনেকেই অভিযোগ করে আসছেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করেছে।
শামস সাভারের আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় একাই থাকতেন। তবে ঘটনার রাতে আরিফুল ইসলাম নামে এক স্থানীয় সাংবাদিক তার বাসায় উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোর ৪টার দিকে শামসুজ্জামান ভাই আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। উঠে দেখি, ডাইনিংয়ে ৫-৬ ব্যক্তি দাঁড়ানো। আর এক ব্যক্তি ভাইয়ের কক্ষে তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইল ফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে নেয়। একজন ঘরের ভেতরে ঢুকে আমার কাছে পরিচয় জানতে চান এবং জানান জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বাসায় দিয়ে যাবে বলে জানায়।
বাসা তল্লাশির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে বটতলার নূরজাহান হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন, একজন নিরাপত্তা প্রহরী ও শামসুজ্জামানসহ মোট ১৯ জন ব্যক্তি সাহরির খাবার খান। ভোর পৌঁনে ৫টার দিকে বটতলা থেকে তারা আবার শামসুজ্জামানের বাসায় যান।
শামস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম আবর্তনে বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরে। তিনি গুলশানের হলি আর্টিজান হামলায় শহীদ পুলিশ এসি রবিউল ইসলামের ভাই।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান আওয়ার নিউজ বিডি ডটকম কে বলেন, ‘সাংবাদিক আটকের বিষয়টি জানা নেই। থানায় এমন কাউকে আনা হয়নি।
এঘটনায় সাভারে কর্মরত সংবাদ কর্মীরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে দেখাগেছে তাদের নিজ,নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার মাহফুজুর রহমান নিপু ও এটিএন নিউজের রিপোর্টার জাহিদ হাসান শাকিল, আলাদা ২টি বক্তব্যে আওয়ার নিউজকে জানায়, মফস্বলে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের হাউজের কাছে জবাবদিহিতা না করে হুট হাট একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া গণমাধ্যম কর্মীদের আতংকের বিষয় হয়ে উঠেছে এছাড়াও তারা এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন