সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে আরো সতর্ক থাকতে হবে- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো অপপ্রচার, গুজবে যেন ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় তার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হচ্ছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সমাজ কিংবা রাষ্ট্রই নয়, ফেসবুকের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বিশেষ করে ফেসবুকে জুয়ার বিজ্ঞাপণ প্রচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা সাবনাজ রশীদ দিয়া আজ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এই তাগিদ দিয়েছেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ২০১৮ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বার্সিলোনায় প্রথম বৈঠকের ধারাবাহিকতায় গত ৫ বছরে সম্পর্কের ধারাবাহিক উন্নয়নের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত সোস্যাল মিডিয়া দৈনন্দিন জীবনের অংশ উল্লেখ করে বলেন, জাতীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহে সম্পাদিত সংবাদ প্রকাশিত হয় কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ায় যে যার মতো করে স্ট্যাটাস প্রকাশ করে থাকেন যা ব্যাক্তিগত আক্রমণ থেকে শুরু করে সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিও হতে পারে, যা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। দেশ ও জাতির নিরাপদ রাখার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন এটি এক বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফেসবুককে আরো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার এই উদ্ভাবক ইউজার ইন্টারফেসসমূহ সাধারণের জন্য আরো সহজ করার পরামর্শ ব্যাক্ত করেন।
সাবনাজ রশীদ দিয়া বলেন, অন্যান্য দেশের পলিসি, আইন আর বাংলাদেশের প্রেক্ষিত অনেকটাই ভিন্ন, আমরা ক্ষতিকর কনটেন্টের বিষয়ে সতর্ক আছি। আমাদের পলিসিতে ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্টের বিষয়ে সচেতন থাকার বিষয়ে সরকার থেকেও বারবার বলা হয়েছে। আমরা সেই আলোকে ব্যবস্থাও নিয়েছি। তিনি জানান যে, ফেসবুক বিটিআরসির সাথে নিয়মিত বৈঠক করে ও প্রাত্যহিক যোগাযোগ রক্ষা করে, যা তারা অব্যাহত রাখবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন