সামিয়াসহ ঢাবির পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে লেখা চুরির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন বিভাগের পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে লেখা চুরির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ভিন্ন দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তদন্ত কমিটিকে চার সপ্তাহ সময় বেধে দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে লেখাচুরির অভিযোগ আনা হয় ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান এবং ক্রিমিনোলজি বা অপরাধবিজ্ঞান বিভাগ এর অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে।
চিঠিতে বলা হয়, এই দুইজন শিক্ষক ফ্রান্স দার্শনিক মাইকেল ফৌকাল্টের একটি লেখা কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়ে চুরি করেছেন। ওই দার্শনিকের মূল লেখার শিরোনাম ছিল ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ যা ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঢাবির সিন্ডিকেট সদস্য নীলিমা আকতার জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান ও ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের যৌথ গবেষণা প্রবন্ধের বিষয়ে অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে। বিদেশি একটি জার্নালের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ওই অভিযোগ আসে।
তিনি জানান, ওই জার্নালের অভিযোগ, তাদের প্রবন্ধের পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা কপি করা হয়েছে ওই দুই শিক্ষকের গবেষণা প্রবন্ধে। তদন্ত কমিটি এটা খতিয়ে দেখবে।
অভিযুক্ত মারজান বলেন, আমাদের আর্টিকেলটির প্রথম লেখক সামিয়া রহমান এবং দ্বিতীয় লেখক আমি। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়।
অন্যদিকে সামিয়া বলেন, ‘যখন এই লেখাটি প্রকাশিত হয় তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম। তিনি (মারজান) আমার সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই লেখাটি জমা দিয়েছিলেন। লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি আমার নজরে আসে এবং এ বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ডীন এর কাছে আমি অভিযোগ দিয়েছিলাম। আমার কাছে এর প্রমাণ রয়েছে’।
দ্বিতীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক রুহুল আমিন ও নুসরাত জাহান এবং বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির দুটি অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য।
সিন্ডিকেট সদস্য নীলিমা আকতার বলেন, সিনিয়র একজন শিক্ষক উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে রুহুল আমিন ও নুসরাত জাহানের প্রকাশিত প্রবন্ধগুলোর মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়ার অভিযোগ করেন। সেখানে একটি বিষয় নিয়ে কয়েকটি প্রবন্ধ করা হয়েছে। সেটি একটি অভিযোগ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন