সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি দিয়ে আওয়ামীলীগ ফায়দা নিতে চায়- মির্জা ফখরুল ইসলাম
পঞ্চগড়ের কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনায় সরকার সরাসরি জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অনির্বাচিত সরকারকে বলতে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে কখনো রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করা যায় না। তারা সাম্প্রদায়িকতার উস্কানী দিয়ে ফায়দা নিতে চায়। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতেছে। সোমবার (১৩ মার্চ) সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ির নিজ বাসভবনে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির দুই সংসদ সদস্যের ফেসবুক পেইজ থেকে কাদিয়ানী হামলার উস্কানি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে- গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি তুললে জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও হারুনুর রশিদ অত্যন্ত দায়িত্বশীল নেতা। তারা তাদের ফেসবুক পেজ থেকে এমন পোস্ট দেবে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না।
এটার একমাত্র উদ্দেশ্য তাদের ব্যক্তিগত ইমেজ খর্ব করা। গোটা বিষয়টাকে ভিন্ন খাতে ঘটনার আসল আসামিদের বাঁচানোর চেষ্টা। তাছাড়া তথ্যমন্ত্রীর কথা কেউ বিশ্বাস করে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে গেছে। ১৮ সালের নির্বাচনের মতো তারা এবারও একই নির্বাচন করতে চায়। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে এবার আর সে নির্বাচন হতে দেবে না।
বিএনপি’র এই নেতা বলেন, পার্লামেন্টারি এক কমিটিতে আওয়ামীলীগও মতামত দিয়েছিল দেশে আরও দু’টি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে হওয়া উচিত। এছাড়াও হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছিল সেখানে নয় জনকে ডাকা হয়েছিল। তাদের মধ্যে আটজনই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে কথা বলেছেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট এড়াতে একমাত্র সমাধান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান জাহিদ,সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদসহ জেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন