সারাদেশে বজ্রপাতে ১৬ জনের মৃত্যু
সারাদেশে বজ্রপাতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকাল ও দুপুরে বজ্রপাতে এসব ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও কামারখন্দ উপজেলায় রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলেন- শাহজাদপুর পৌর এলাকার ছয়আনিপাড়া মহল্লার ফারুক হাসানের ছেলে নাবিল হোসেন (১৭), রাশেদুল হাসানের ছেলে পলিং হোসেন (১৬), কাজীপুর উপজেলার ডিগ্রি তেকানী গ্রামের মৃত পারেশ মণ্ডলের ছেলে শামছুল মণ্ডল (৫৫) ও শামছুল মণ্ডলের ছেলে আরমান (১৪) এবং কামারখন্দের পেস্তক কুড়াগ্রামের মৃত আহের মণ্ডলের ছেলে কাদের হোসেন (৩৭)।
মাগুরা প্রতিনিধি জানান, মাগুরা সদর অক্কুর পাড়া ও রায়গ্রাম এবং শালিখা উপজেলার বুনাগাতী গ্রামে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলেন- অক্কুর পাড়ার ভ্যানচালক শামীম, ব্লুগ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আলম ও জয়পুরহাটের মনপুরা এলাকার আলম মিয়ার ছেলে মেহেদী। মাগুরা সদর থানা পুলিশের এসআই আশ্রাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বজ্রপাতে আব্দুর রহিম (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রহিমের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায় বলে নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন তরফদার।
এদিকে, নওগাঁ প্রতিনিধি জানিয়েছেন নওগাঁর সাপাহারে বজ্রপাতে গৃহবধূ সোনাভান (২৪) মারা গেছেন। এ ঘটনার তিনজন আহত হয়েছেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা শিরন্টি ইউনিয়নের শিমলডাঙ্গা রামাশ্রম গ্রামে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- নিহতের স্বামী রুবেল হোসেন (২৮), সালেহা বিবি (৪২) ও শিশু রাজু (১২)।
সাপহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বজ্রপাতে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহতদের উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় বজ্রপাতে জাফরুল ইসলাম (২০) নামে পোশাক কারখানার এক চেকম্যানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল ৮টার দিকে মাটিকাটা এলাকায় ইনক্রেডিবল ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। কালিয়াকৈর শিল্প পুলিশের সহকারী উপ-পরির্দশক (এএসআই) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে মনছুরা বেগম (৩৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মনছুরা বেগম বাঘাইছড়ি উপজেলার মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের (ওসি) আমির হোসেন। রোববার দুপুর ১টার দিকে রাঙ্গামাটির উপজেলার মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা মনছুরা বেগম বজ্রপাতে মারা যান।
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্কুল বন্ধ থাকায় সহপাঠীদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে ইকবাল হাসনাত পিয়াল (১৩) নামে এক ছাত্র ও এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মী নারায়ণপুর গ্রামের বশিরার দোকানের পার্শ্ববর্তী একটি খেলার মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পিয়াল নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মী নারায়ণপুর গ্রামের সোহেল রানার ছেলে। তিনি নোয়াখালী জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আর নিহত কৃষক শাহীনের (২৬) গ্রামের বাড়ি ভোলাতে। সুধারাম থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে বজ্রপাতে লিটন মিয়া (৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কৃষক লিটন সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়ার ছেলে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ধলাদিয়া গ্রামের রোববার দুপুরে বজ্রপাতে বিলকিস বেগম (৪৩) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। এসময় তার ছেলে জহিরুল ইসলাম (২০) আহত হয়েছেন।
তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। নিহত বিলকিস বেগম উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ধলাদিয়া গ্রামের কালু কবিরাজের স্ত্রী।
রাজাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল কাদির জানান, গতরাতে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে বিলকিস বেগমের একটি গাছ উপড়ে পরে। রোববার দুপুরের দিকে ছেলেকে নিয়ে ওই গাছের ডালপালা কাটার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই বিলকিস বেগমের মৃত্যু হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন