সারাদেশে ৮টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টিসহ রোগ যাতে না হয় সে জন্য খাওয়া-দাওয়া ও চলাফেরার অভ্যাস পরিবর্তন করে স্বাস্থ্যসম্মত জীবন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার আরও ব্যাপক উন্নয়ন ও প্রসার ঘটানোর জন্য পর্যায়ক্রমে ৮টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন’ নার্সিং পেশায় আসতে চাইলে সাইন্সে পড়তে হবে- এমন কোন বাধ্যবাধকতা থাকা উচিৎ নয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নার্সিং পড়ার সময় সাইন্সের যতটুকু প্রয়োজন তা এই এডুকেশনের কারিকুলামে যুক্ত করতে হবে। সেখানেই বিষয়টা তুলে দিতে হবে। কেউ যদি এ পেশায় আসতে চায় তবে সে যে কোনো বিষয়ে পড়ুক না কেনো নাসিং-এ আসতে পারবে।’
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সব নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তার ও নার্সদের আরও যত্নবান হতে হবে। বিশেষায়িত নার্স তৈরি করতে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ইতোমধ্যে দেশের বাইরে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশেও এই ব্যবস্থা করা হোক।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সারাদেশের হাসপাতালগুলোর শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধিসহ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সাপোর্টিং স্টাফ। মেডিক্যাল শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে হোমিওপ্যাথিক, ভেষজ ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা হয়। এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর চাহিদা বাংলাদেশে রয়েছে। তাই এই ধরনের চিকিৎসার দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬৬ বছর। আর এখন তা ৭২ বছরে উন্নীত হয়েছে। আমরা মা ও শিশুর মৃত্যু হার কমিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। সেখানে মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা পাচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসক পরিমাণ কম রয়েছে। আমরা সেগুলো বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপকল্প বাস্তবায়নে মোবাইল ফোন এবং টেলিমেডিসিন পদ্ধতির মাধ্যমেও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, দেশের মানুষের কাছে গুণগত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ। এবারের সেবা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্বাস্থ্যসেবা অধিকার, শেখ হাসিনার অঙ্গীকার।’ স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ শেষ হবে আগামী ২০ এপ্রিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন