সার্ক সম্মেলন : প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান, কী করবেন মোদি?
চলতি বছরের শেষে সার্ক সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। সার্ক সম্মেলন আয়োজনের বিষয়টাকে ইমরান খানের ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে একাধারে মর্যাদা রক্ষা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরআগে ২০১৬ সালে সার্ক সম্মেলন ভেস্তে যাওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছিল ভারত। উরি হামলার জেরে শেষ পর্যন্ত অন্যান্য দেশকেও বয়কট করতে হয় ওই সম্মেলন।
এখন প্রশ্ন হল, এবারের সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসলামাবাদে যাবেন কি না। পাকিস্তানের তরফ থেকে শীর্ষ পর্যায়ের কোনো রাজনৈতিক নেতাকে দূত হিসেবে ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে চেষ্টার ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। কারণ, এটাকে সাম্প্রতিক অতীতে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি-প্রয়াসের সবচেয়ে বড় এবং প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আর এ সুযোগ ছাড়তে নারাজ ইমরান খান।
তবে এখনও পর্যন্ত এ সম্মেলনে যোগ দেয়ার ব্যাপারে অনীহা রয়েছে মোদির।
চলতি বছরের শেষের দিকেই ভারতের তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এবং তার পরেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। এমন একটা সময়ে ইসলামাবাদে গিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা দুনিয়াকে খুশি করতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, কিন্তু ইসলামাবাদের মাটিতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ফেরা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা।
ভারত সরকারের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার ভাষায়, প্রধানমন্ত্রী হয়তো পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলন করে ফিরলেন। তারপরই দেশের কোথাও অথবা কাশ্মীরেই সন্ত্রাসবাদী হামলা হলো। তাতে সরকারের চরম মুখ পুড়বে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল পাঠানকোটের সেনা ছাউনিতে হামলার সময়।
পাঠানকোট হামলার এক সপ্তাহ আগে বিনা আমন্ত্রণেই মোদি গিয়েছিলেন লাহৌরে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পারিবারিক অনুষ্ঠানে। ভোটের আগে আর এমন কোনো ‘ভুল’ সরকার আর করতে চাইবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আনন্দবাজার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন