সিএনএন বিক্রি করতে ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ

মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন বিক্রি করে দেয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাইম ওয়ার্নার ও এটিঅ্যান্ডটির মধ্যে একীভূত হওয়ার চুক্তিকে আরও পাকাপোক্ত করার জন্যই এই চাপ দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার সিএনএনের সমালোচনা করে আসছেন এবং তার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমটি যেসব খবর প্রকাশ করে, সেগুলোকে তিনি ‘ভুয়া খবর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

গত বছর সিএনএনের মালিক প্রতিষ্ঠান টাইম ওয়ার্নার ও এটিঅ্যান্ডটি একীভূত হওয়ার জন্য ৮৫০০ কোটি ডলারের চুক্তি অনুমোদন করা হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের খবর প্রকাশের পর এটিঅ্যান্ডটির নির্বাহী প্রধান বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি। খবর বিবিসির।

যদি এই চুক্তি নিয়ন্ত্রকরা মেনে নেন, তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় চুক্তি হবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। এর মাধ্যমে টাইম ওয়ার্নারের নিয়ন্ত্রণাধীন এইচবিও, সিএনএন চ্যানেল, ওয়ার্নার ব্রস মুভি স্টুডিওসহ অন্যান্য মিডিয়া সম্পত্তি এটিঅ্যান্ডটি’র হাতে চলে আসবে। এতে মিডিয়ার শক্তি আরও সুসংহত হবে বলে মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণাকালে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি জয়ী হলে যে কোনো মূল্যে এটিঅ্যান্ডটি-টাইম ওয়ার্নার চুক্তি রুখে দেবেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সিএনএন’র বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছেন তিনি।

ফলে ট্রাম্প প্রশাসন এ চুক্তির বিরোধিতা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলছে, এ চুক্তির কারণে সিএনএন’র ভোক্তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এটিঅ্যান্ডটি’র প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা জন স্টিফেন বলেন, ‘দুই কোম্পানির একীভূতকরণ সব ধরনের সুবিধা আনয়ন করবে। কয়েক দশকের মধ্যে হওয়া বৃহৎ এ চুক্তিতে মার্কিন প্রশাসন বাধা দিতে পারে না। ’

তবে এ বিষয়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে কার্যকরী আলোচনার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের কথা জানাননি তিনি। এছাড়া এ চুক্তির বিষয়েও বিস্তারিত কিছু তিনি বলেননি।

এটিঅ্যান্ডটি’র প্রধান নির্বাহী র‌্যানডল স্টিফেনসন বলেন, ‘এ প্রক্রিয়ার মধ্যে আমি সিএনএনকে বিক্রি করে দেয়ার প্রস্তাব দেইনি এবং এ ধরনের কোনো ইচ্ছাও আমার নেই। ’