সিদ্দিকুরকে দুটি চোখই দিতে চান কৃষক ভাই!
ডাক্তার বলেছে আমার ভাইয়ের নাকি চোখ দুটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনাই বেশি। এখন আমরা কি করবো কোথায় পাব এতো টাকা? তাই আমি ডাক্তারকে বলেছি আমার চোখ দুইটি আমার ভাইকে দিয়ে দিতে।
কথাগুলো বলছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমানের ভাই নায়েব আলী। তিনি পেশায় একজন কৃষক। ময়মনসিংহের তারাকান্দায় মা, স্ত্রী আর তিন সন্তান নিয়ে থাকেন।
সাত দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুত্বর আহত হন সিদ্দিকুর রহমান। এ ঘটনায় তার চোখ দুটো হারাতে বসেছে বলে আশঙ্কা করছে ডাক্তার এবং সিদ্দিকুরের পরিবার।
ছোট ভাইয়ের সুচিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সহযোগীতা চেয়েছেন নায়েব আলী। আর তাই নিজের চোখ দুইটি নিজের ছোট ভাইকে দিয়ে দিতে চেয়েছেন তিনি।
নায়েব আলী বলেন, আমি একজন কৃষক, আমাদের বাবা নেই। টিউশনি করে নিজের পড়ালেখার খরচ চালাতো আমার ভাই। এখন কে দিবে তার চিকিৎসার খরচ। সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করি আমার ভাইটা যেন ভালো চিকিৎসা পায়।
এদিকে চিকিৎসক বলেন, সিদ্দিকুরের চোখ দুটো এখনও ফুলা। চোখের বিতরের অংশে কী আছে বলতে পারছি না। আগামীকাল বলা যাবে চোখগুলা কতটা ভালো আছে, কি নেই। তবে আজ আমরা ডেসিং করেছি। যতটুকো মনে হল শক্ত কিছুর দ্বারা তার চোখে আঘাত পেয়েছে তাই প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
সিদ্দিকুর রহমান সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। চার বছর বয়সে পিতা হারান সিদ্দিকুর। পরিবারের অসচ্ছলতার সত্বেও নিজ পরিশ্রমে অর্নাস পর্যন্ত পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। টিউশনি করেই চলে তার শিক্ষা জীবন। পিতার দুই সংসারের ৯ সন্তানের মধ্যে সিদ্দিক সবার ছোট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন